Gestational Diabetes: গর্ভাবস্থায় সুগার ধরা পড়েছে? সমস্যায় পড়তে পারে আপনার সন্তানও! রইল চিকিৎসকদের পরামর্শ

Diabetes: যাঁদের বেশি বয়সে প্রেগন্যান্সি আসে এবং সেই সঙ্গে ওজন বেশি থাকে তাঁদের ক্ষেত্রেই কিন্তু গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের আশঙ্কা সবচাইতে বেশি থাকে

Gestational Diabetes: গর্ভাবস্থায় সুগার ধরা পড়েছে? সমস্যায় পড়তে পারে আপনার সন্তানও! রইল চিকিৎসকদের পরামর্শ
যে সব কারণে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা জরুরি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 4:11 AM

ডায়াবিটিসের সমস্যা এখন নিঃশব্দে প্রবেশ করেছে ঘরে ঘরে। প্রতি পাড়া এবং পরিবারপিছু প্রায় ১ জন করে আক্রান্ত ডায়াবেটিসে। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে ভুক্তভোগী থাকলেও টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচাইতে বেশি। ডায়াবেটিস হলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। অজান্তেই ক্ষতি হতে থাকে লিভার, কিডনি, হার্টের। ক্ষীণ হয় দৃষ্টিশক্তিও। অনেকের ক্ষেত্রে দ্রুত ওজন কমতে থাকে। যেখান থেকে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওরের মত সমস্যা হতে পারে। আজকাল টাইপ ২ ডায়াবেটিসের পাশাপাশি গর্ভাবস্থাতেও ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। যা কিন্তু জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস হিসেবে পরিচিত। এক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় জটিলতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা এরকমটাও দেখেছেন যে, যাঁরা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসে ভুগেছেন পরবর্তীতে তাঁদের সন্তানের মধ্যেও দেখা গিয়েছে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রকোপ।

আর তাই গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে হবু মা-কে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। পরিবর্তন আনতে হবে তাঁর রোজকার ডায়েটেও। ভাত, আলু, মিষ্টি, চিনি, শর্করা এসব একেবারেই এড়িয়ে যেতে হবে। তবে এই সময় হবু মায়ের জন্য পুষ্টিও জরুরি। আর তাই কী রাখবেন রোজকার ডায়েটে তাও জেনে নিন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে।

সুগার বাড়লে হবু মায়ের যে সব অসুবিধে হতে পারে- 

যাঁদের বেশি বয়সে প্রেগন্যান্সি আসে এবং সেই সঙ্গে ওজন বেশি থাকে তাঁদের ক্ষেত্রেই কিন্তু গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের আশঙ্কা সবচাইতে বেশি থাকে। এছাড়াও যদি পিসিওসের সমস্যা থাকে বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে, পরিবারে কতারোর সুগার থাকে সেখান থেকেও কিন্তু আসতে পারে এই সমস্যা। এই ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে কিন্তু নায়ের মৃত্যুও হতে পারে। এমনকী হাই প্রেসার, সময়ের আগে ডেলিভারি এবং ইনফেকশনের সমস্যা কিন্তু হতে পারে। আর তাই হবু মায়েদের নিয়মিত ভাবে সুগারের পরীক্ষা করাতে হবে। যদি কোনও কারণে সেই মাত্রা থাকে বাড়ার দিকে তাহলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যে সব সমস্যা হয়

শ্বাসকষ্ট বা হার্টের সমস্যা আসা কিন্তু খুবই সাধারণ। সেই সঙ্গে আসতে পারে স্নায়ুর নানা সমস্যা। এক্ষেত্রে প্রিম্যাচিওর সন্তানের জন্ম হতে পারে।  এই অবস্থায় বাচ্চাদের জন্য বিশেষ চিকিৎসা পরিকাঠামোর প্রয়োজন হয়।

আর তাই সুগার বাড়লে হবু মায়েরা যা করবেন- 

প্রথমেই জোর দিতে হবে ডায়েটে। শর্করা, কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে ফেলতে হবে। পরিবর্তে কী খাবেন সেই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফাইবীর বেশি খান। যদি বাড়িতে কারোর সুগারের সমস্যা থাকে তাহলে আগে থেকেই সতর্ক থাকুন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।