গরমকালে শরীরচর্চা: অতি অবশ্যই খেয়াল রাখুন এই পাঁচটি বিষয়
শরীরে যদি একটুও অস্বস্তি হয়, যেমন ধরুন- মাথা ঝিমঝিম ভাব, মাথা ঘোরানো, শরীর অবসন্ন-ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত হয়ে যাওয়া, গলা বা ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, গা-হাত-পা এবং পেটে অতিরিক্ত যন্ত্রণা, তাহলে তখনি শরীরচর্চা বন্ধ করুন।
যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন এবং ফিটনেস ফ্রিক, তাঁদের কাছে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা— সবই সমান। সারা বছরই শরীরচর্চা করেন তাঁরা। কিন্তু অন্যান্য সময়ের তুলনায় সামার সিজন বা গরমকাল একটু বেশি চিন্তার বিষয়। কারণ সামান্য কিছু থেকেও বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে করোনার দ্বিতীয়বার হানায় এমনিতেই নানা রকম সমস্যা লেগেই রয়েছে। অনেক জিম ইতিমধ্যেই বন্ধও করা হয়েছে। কিন্তু যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের কী হবে?
জিম বন্ধ হলেও অসুবিধা নেই। বাড়িতেই ওয়ার্কআউট করতে পারেন আপনি। তবে কয়েকটা জিনিস অতি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
১। অতিরিক্ত রোদে খোলা জায়গায় একসারসাইজ করবেন না। যাঁদের রোজ হাঁটা বা দৌড়ানোর অভ্যাস রয়েছে তাঁরা সকাল সকাল জগিং বা হাঁটা কিংবা দৌড়ানো সেরে ফেলুন। নাহলে বিকেলে হাঁটতে যেতে পারেন। সেই সময় জগিংও করা যায়। আবার দৌড়াতেও পারেন।
২। শরীরে যদি একটুও অস্বস্তি হয়, যেমন ধরুন- মাথা ঝিমঝিম ভাব, মাথা ঘোরানো, শরীর অবসন্ন-ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত হয়ে যাওয়া, গলা বা ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, গা-হাত-পা এবং পেটে অতিরিক্ত যন্ত্রণা, তাহলে তখনি শরীরচর্চা বন্ধ করুন।
৩। বাইরে বেরোন বা বাড়িতে থাকুন, শরীর চর্চার সময় হাতের নাগালে জলের বোতল আর টাওয়েল রাখুন। মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে জল খান। এর পাশাপাশিই টাওয়েল দিয়ে ঘাম মুছে নিন।
আরও পড়ুন- মদ খেলে করোনা হবে না? গুজবে কান না দিয়ে জানুন আসল সত্যি
৪। যেহেতু শারীরিক কসরতের ফলে শরীর থেকে ঘামের আকারে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়, তাই সঠিক পরিমাণে জল খান। নুন-চিনি-লেবু মেশানো জল খেতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়। চিনি একেবারেই সামান্য পরিমাণে দেবেন।
৫। গরমকালে খোলা জায়গায় শরীরচর্চা না করাই ভাল। একদম ভোরে হলে অসুবিধা নেই। কিন্তু বেলা বাড়লে ঘরের ভিতর বা ছায়াতে শারীরিক কসরত করুন। আর এই করোনা আবহে জিম এড়িয়ে চলাই ভাল। বরং যোগাসন, জুম্বা, ফ্রি হ্যান্ড একসারসাইজ, অ্যারোবিকসে মন দিন।