Pancreatic Cancer: প্রায়শই রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ছে জন্ডিস? শরীরে কর্কট রোগ হানা দেয়নি তো!
Symptoms: যতদিনের মধ্যে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে, ততদিন এই রোগ ফুসফুস আর যকৃতে ছড়িয়ে পড়ে। তাই অবস্থার অবনতি হওয়ার আগেই অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণগুলো চিনে নিন...
বিশ্ব জুড়েই থাবা বসিয়েছে ক্যান্সার। ছোট থেকে বড়-এই মারণ রোগের হাত থেকে রেহাই পান না কেউই। তবে সব ধরনের ক্যান্সারের তুলনায় অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। এর কারণ প্রথম স্টেজে ধরা পড়ে না অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার। সুতরাং রোগের চিকিৎসা শুরু হতেও বেশি সময় লেগে যায়। এই ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ জন্ডিস। কিন্তু সমস্যা হল জন্ডিসের উপসর্গগুলোকে হালকা ভেবে এড়িয়ে যান অনেকেই। সেই অর্থে জন্ডিস দেখা দিলে কেউই অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের কথা ভাবেন না কিংবা পরীক্ষাও করান না। প্রায়শই জন্ডিস হওয়া, বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি থাকা, হাত-পায়ের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া , চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া কিন্তু শুধু জন্ডিসের কারণে ঘটে না। এর পিছনে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারও লুকিয়ে থাকে। পরে যখন এই রোগ ধরা পড়ে তখন তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
যতদিনের মধ্যে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে, ততদিন এই রোগ ফুসফুস আর যকৃতে ছড়িয়ে পড়ে। যখন পাকস্থলীর পিছনের অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি কোষসমূহ আনিয়ন্ত্রিত ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে একটি পিণ্ড সৃষ্টি করে তখন অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সার দেখা দেয়। ধীরে ধীরে এই অগ্ন্যাশয়ের কোষ ফুসফুস ও যকৃতে ছড়িয়ে পড়ে। খুব স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই অবস্থার অবনতি হওয়ার আগেই অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণগুলো চিনে নিন…
জন্ডিস- জন্ডিসের লক্ষণকে উপেক্ষা করবেন না। এগুলো অনেক সময় অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের জানান দেয়। জন্ডিস হলে প্রথম থেকেই সতর্ক হন। জন্ডিস সেরে যাওয়ার পরও যদি দেখেন পেট কিংবা কোমরে নিয়মিত ব্যথা হচ্ছে, গ্যাস-অম্বল লেগেই রয়েছে তাহলেও হালকা ভাবে নেবেন না। গ্যাস-অম্বল কিন্তু যে কোনও বড় রোগের পূর্বাভাস। এছাড়াও লিভার বড় হয়ে যাওয়া, গলব্লাডার স্টোন থেকেও পরবর্তীতে হতে পারে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার।
বদহজমের সমস্যা- অনেক সময় খাওয়া-দাওয়ার কারণে বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। এই ক্ষেত্রে ওষুধ খেলেই অবস্থার উন্নতি হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ওষুধ খেলেও এই সমস্যার সমাধান হয় না। পাশাপাশি খাবার খাওয়ার পরও বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। এই ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া জরুরি। এটা অগ্ন্যাশয়ের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। খাবার খাওয়ার পর বমি বমি ভাব, বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটি অগ্ন্যাশয়ের প্রাথমিক লক্ষণ।
ডায়াবেটিস- যাঁদের ব্লাডসুগার হাই তাঁদের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। সুগারে ভেতর ভেতর অনেক অঙ্গের ক্ষতি করে। যা বাইরের থেকে বোঝা যায় না। তাই সুগার রোগীদের যদি নিয়মিত পেট, কোমর ব্যাথা হয় তাহলে আগাম সতর্কতা প্রয়োজন।
ওজন কমে যাওয়া- হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া কিন্তু মোটেও ভাল লক্ষণ নয়। খিদে কমতে থাকা, ওজন দ্রুত হারে কমলে সতর্ক হোন এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।