Fitness Tips: বাতের ব্যথা থেকে উচ্চ রক্তচাপ, রোজ ঠিকমতো হাঁটলেই মিলবে দ্রুত সমাধান
Benefits Of Fitness Walking: আপনি যদি প্রথম বারের মত মর্নিং ওয়াক কিংবা ইভিনিং ওয়াক শুরু করেন তাহলে প্রথম দিনেই চার কিলোমিটার হাঁটবেন না। ধীরে ধীরে স্পিড বাড়ান...
Walking Tips: সুস্থ থাকতে রোজ নিয়ম করে হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সারা দিনের ব্যস্ততার মধ্যে থেকে অন্তত ৩০ মিনিট সময় বের করে হাঁটলে পারলে একাধিক রোগ সমস্যা দূরে থাকে। সুগার, প্রেসার, কোলেস্টেরল থেকে অতিরিক্ত ওজন- সবই কমবে যদি রোজ হাঁটেন। তবে এই হাঁটতে যাওয়া আর ঘরের মধ্যে হেঁটে-চলে বেড়ানো- এর মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। আবার হাঁটতে হবে বলেই যে প্রতিদিন মাইলের পর মাইলে হেঁটে যাবেন তা নয়। এতে হাঁটু ক্ষয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পায়েও আঘাত লাগতে পারে। যে কোনও কিছুর অতিরিক্ত করলে যেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে এখানেও কিন্তু ঠিক তেমনই। সম্প্রতি মিটেন সেস ফিটনেসের প্রতিষ্ঠাতা মিতেন কাকইয়া বিশেষ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
যে কোনও ধরণের কাজই আমাদের শরীরের গতি বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ শরীরকে গতিশীল করে তোলে। সেই সঙ্গে হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। হাঁটাও একরকম ব্যায়াম। আর এমন একটি ব্যায়াম যা শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্যই প্রযোজ্য। কিন্তু হাঁটার ধরণের মধ্যে থাকে ফারাক।
প্রতিদিন হাঁটার উপকারিতা
আপনি যদি প্রথম বারের মত মর্নিং ওয়াক কিংবা ইভিনিং ওয়াক শুরু করেন তাহলে প্রথম দিনেই চার কিলোমিটার হাঁটবেন না। ধীরে ধীরে স্পিড বাড়ান। নিজের ওজন বুঝে হাঁটুন। প্রথম দিন যদি হাঁটার বদলে ছোটেন তাহলে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ঝরবে না ক্যালোরিও। নিজের ওজন বুঝে এবং শারীরিক সমস্যা অনুযায়ী ঠিক কত ক্যালোরি আপনার ঝরানো প্রয়োজন তা আগে ঠিক করে নিন।
এভাবে টানা ১০ দিন হাঁটতে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে কিছু কার্ডিয়ো এক্সসারসাইজ শুরু করুন। এতে হার্ট ভাল থাকবে। কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি। সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, জয়েন্টের ব্যথা, পেশীর ব্যথা এসবও থাকে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার হাত থেকেও রেহাই পাবেন।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটতেই হবে। তার থেকে বেশি হাঁটলে ভাল। হাঁটা, ফ্রি হ্যান্ড এক্সসারসাইজ, কার্ডিয়ো এই ভাবে রোজকার রুটিন ভাগ করে নিন। এতে বেশি পরিমাণে ক্যালোরি খরচ হবে। সেই সঙ্গে পেশীর গঠনও কিন্তু ভাল হবে। টোনড পেশি চাইলে এই ভাবে হাঁটা শুরু করুন। এছাড়াও রোজ হাঁটার অনেক সুফল আছে। ক্লান্তি, অবসাদ দূর হয়। মন ভাল থাকে। স্ট্রেসও কমে। মোটকথা রোজকার একঘেঁয়ে জীবন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞের টিপস
রোজকার জীবনে সুস্থ থাকতে নিয়মিত হাঁটুন। চ্যালেঞ্জ করুন নিজেকেই। পার্কে হাঁটতে পারেন, বাড়ির ছাদে হাঁটতে পারেন, ট্রেডমিলেও হাঁটতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভাল খোলা মাঠে বা রাস্তায় হাঁটা।
হাঁটার সময় কানে বাজুক পছন্দের গান কিংবা শুনতে পারেন পছন্দের কোনও বিষয়। হাঁটার সময় যদি কোনও সঙ্গী থাকে তাহলে তাঁর সঙ্গে প্রচুর কথা বলবেন এমন কিন্তু নয়।
তবে জিম কিংবা সাঁতার শুরুর আগে যেমন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেন এখানেও কিন্তু সেই নিয়মের অন্যথা করবেন না। চিকিৎসক যেমন পরামর্শ দেবেন সে ভাবেই হাঁটবেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।