Holding Pee For Too Long: প্রস্রাব চেপে রাখেন? নিজেরই অজান্তে যে সব রোগ ডেকে আনছেন…

Pee Problem: রোজ আপনার কতটা পরিমাণ জল খাওয়া উচিত, কতবার প্রস্রাব করতে হবে তা কিন্তু সবার জন্য সমান নয়। প্রতিটি মানুষের শারীরিক গড়ন অনুযায়ী তা নির্ধারিত

Holding Pee For Too Long: প্রস্রাব চেপে রাখেন? নিজেরই অজান্তে যে সব রোগ ডেকে আনছেন...
দীর্ঘক্ষণ ইউরিন একেবারেই চেপে রাখবেন না...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2022 | 8:37 AM

যতই প্রস্রাব পাক কষ্ট করে চেপেচুপে থেকে যাওা যাবে কিন্তু নোংরা শৌচালয়ে কিছুতেই যাোয়া যাবে না। কারণ তা রোগ-সংক্রমণের আখড়া। পাবলিক টয়লেটে গেলেই সেখান থেকে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে, এই মানসিকতা কাজ করে অনেকের মধ্যেই। রাতে ঘুম নষ্ট হবে- তাই প্রস্রাবে মূত্রথলি ফেটে যাওয়ার জোগাড় হলেও কিছুতেই উঠে বাথরুমে যাওয়া যাবে না- এমন অভ্যাস প্রচুর মানুষের মধ্যে থাকে। বেশিবার বাথরুম যেতে হবে অনেকে আবার জলের পরিমাণও কমিয়ে দেন। এই সব কয়েকটি অভ্যাসই প্রতিটি মানুষের জন্য খারাপ। কারণ এখান থেকে আসতে পারে জটিল কোনও ব্যাধি। রোজ আপনার কতটা পরিমাণ জল খাওয়া উচিত, কতবার প্রস্রাব করতে হবে তা কিন্তু সবার জন্য সমান নয়। প্রতিটি মানুষের শারীরিক গড়ন অনুযায়ী তা নির্ধারিত। সবার মূত্রাশয় সম পরিমাণ জল ধরে রাখতে পারে না। হতেই পারে কেউ হয়তো দিনের মধ্যে তিনবার প্রস্রাব করেন আর কেউ পাঁচবার। তবে আর যাই হোক না কেন প্রস্রাব কোনও ভাবেই চেপে রাখবেন না। এতে মূত্রথলির উপর চাপ পড়ে, শরীরের উপর চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস থেকে গেলে সেখান থেকে আরও ৫টি জটিল স্বাস্থ্যসমস্যা আসতে পারে। যেমন-

কিডনি স্টোন- প্রস্রাব চেপে রাখলেই সেখান থেকে বাড়ে কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা। ছোট থেকেই এই কথাটা সকলে বাড়িতে শুনে আসছেন যে জল কম খেলে কিংবা প্রস্রাব চেপে রাখলে সেখান থেকে হতে পারে কিডনি স্টোন। কিডনিতে পাথর হলে এনেক রকম শারীরিক সমস্যা আসে। তার মধ্যে প্রথমেই থাকে অসহ্য ব্যথা। সেই সঙ্গে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত এবং বাকি সংক্রমণের সম্ভাবনাও থেকে যায়। কিডনিতে স্টোন হলে অনেক সময়ই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। পরিমাণের তুলনায় জল কম খেলে বা প্রস্রাব চেপে রাখলেই এই সমস্যা বাড়ে।

ইউরিন ইনফেকশন- একটানা অনেকক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখলে সেখান থেকে মূত্রনালির সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়াও যদি দীর্ঘ সময় ধরে মূত্রাশয়ে ইউরিন জমতে থাকে তাহলে তা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ মূত্র ধরে রাখার নির্দিষ্ট একটা ক্ষমতা রয়েছে। মূত্রাশয় ফেটে গেলে সেখান থেকে পুরো শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও একবার যদি ইউটিআই হয় আর তা যদি ঠিকমত ভাবে না সারে তাহলে সংক্রমণ ফিরে আসতে পারে। যা একেবারেই কাম্য নয়।

ব্লাডারে সমস্যা- ব্লাডার ব্লাস্ট করে যাওয়া খুবই বিরল ঘটনা তবে দীর্ঘক্ষণ ইউরিন চেপে রাখলে এই সমস্যাও কিন্তু হতে পারে। মূত্রের মধ্যে থাকে নানারকম ব্যাকটেরিয়া। এছাড়াও কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে যা মূত্রনালীতে আটকে থাকে। এরপর মূত্রাশয় ফেটে গেলে সেখান থেকে আসতে পারে হাজারো বিপত্তি।

প্রস্রাবের স্থানে ব্যথা- প্রস্রাব শরীরের বর্জ্য, চেপে রাখার মত জিনিস নয়। বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে সেখান থেকে ব্যথা হয়। কারণ পেশির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ক্রমাগত এই চাপ পড়তে থাকলে তা কিন্তু মুশকিলের। পরবর্তীতে তা আর মূত্র তেমন ভাবে ধরে রাখতে পারে না। ব্লাডার প্রসারিত-সংকুচিত হলে পরবর্তীতে সেখান থেকে আরও নানা সমস্যা আসে। সঙ্গে ব্যথা তো থাকেই। পরবর্তীতে এখান থেকে প্রস্রাব ধরে রাখার ক্ষমতাও কমে যায়।

অসংযম- মূত্র এই ভাবে চেপে রাখতে গিয়ে একসময় মূত্র তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায়। কারণ এতে পেলভিক পেশির উপর চাপ পড়ে। ফলে যখন-তখন ইউরিন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইউরিন ধরে রাখার ক্ষমতাও থাকে না। সর্বসমক্ষে বিব্রত হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়।