
শরীরে রোদ লাগা মানেই ভিটামিন ডি (Vitamin D) প্রবেশ করে। এমনটাই বলে থাকেন অনেকে। কিন্তু সত্যি কি এমনটা ঘটে? তা হলে তো আর ভিটামিন ডি ক্যাপসুলের প্রয়োজন হত না! ভিটামিন ডি এর কারও ঘাটতিও হত না। রোদই যদি ভিটামিন ডি এর একমাত্র উৎস হত, তা হলে ওষুধ নয়, যাঁদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হয়, তাঁদের রোদে দাঁড়িয়ে থাকলেই হয়ে যেত। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দিনের কোন সময় গায়ে রোদ লাগানো সবচেয়ে ভাল?
অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ কিরণ মুখোপাধ্যায় ১০০.১ গোল্ড এফএম-এ বলেন, ‘শরীরে সবসময় রোদ লাগানো ভাল নয়। রোদ শরীরে লাগানো ভাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টে অবধি। আসলে রোদে আমাদের শরীরে ভিটামিন -ডি যেটা শরীরে সংশ্লেষ হয়, সেটা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সংশ্লেষ হয়। ইউরোপীয় দেশের ক্ষেত্রে বেশি বলা হয়, অন্তত ৩০ মিনিট এবং ৩দিন এইভাবে শরীরে রোদ লাগানো প্রয়োজন।’
এরপর ডক্টর কিরণ মুখোপাধ্যায় জানান, একদিন রোদে দাঁড়িয়ে থাকলেই কাজ হবে না। টানা তিন দিন এটা করতে হবে। তাও আবার ৩০ মিনিট ধরে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে একটা টুইস্ট আছে। দেখা গিয়েছে যাঁদের শরীরে মেলানিন যত কম, তাঁদের অনেক কম সময়ে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। কিন্তু এশিয়া, ভারতবর্ষ, আফ্রিকার দেশে থাকা ব্যক্তিদের ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই আমাদের রোদে আর একটু বেশি সময় থাকলে ভাল। শুধু হাতে রোদ লাগছে, তেমনটা হলে হবে না। অন্তত শরীরের ৩০ শতাংশ অংশে যেন ৩০ মিনিট ও অন্তত তিনদিন রোদ লাগে, সেটা দেখতে হবে। আর সময়টা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টের মধ্যে যেন থাকে।’