Himachal Pradesh Flash Flood: রাত থেকেই শুরু মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বানে ভেসে গেলেন গ্রামবাসী, সিমলাতে ধসে মৃত ১

Himachal Pradesh Flash Flood: কুলু ও কিন্নর জেলাতেও হড়পা বান নেমেছে। কুলুর চোজ গ্রামে কমপক্ষে চারজন ও বেশকিছু গবাদি পশু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে।

Himachal Pradesh Flash Flood: রাত থেকেই শুরু মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বানে ভেসে গেলেন গ্রামবাসী, সিমলাতে ধসে মৃত ১
ধসের জেরে ভেঙে পড়ছে পাহাড়ের একাংশ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2022 | 12:57 PM

চণ্ডীগঢ়: বর্ষা শুরু হতেই ফের বিপত্তি। একদিকে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, অন্যদিকে হড়পা বান। এদিন সকালেই হিমাচল প্রদেশে টানা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান নামে। অন্যদিকে,সিমলাতেও ভূমিধস নামে। ধসে চাপা পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। কুলু জেলার একাধিক জায়গায় ধসের জেরে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

মঙ্গলবার রাত থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধসের জেরে কুলু জেলার মালানা ও মণিকরণের রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। বাকি রাজ্যের সঙ্গে ওই দুই জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কমপক্ষে ৬ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। তার জেরেঅ রাজ্য়জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বজ্রবিদ্যু সহ ঝড়বৃষ্টিও হচ্ছে। হিমাচলজুড়েই আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সিমলায় ধালি সুড়ঙ্গের কাছে ধস নামে। ধসের জেরে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন এক মহিলা ও পুরুষ। জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলা পরিযায়ী শ্রমিক। ওই সুড়ঙ্গের পাশেই তারা কাজ করছিলেন। রাতে রাস্তার ধারেই তাঁবু খাটিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময়ই ধস নামে। আহতদের ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশকিছু গাড়িও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, কুলু ও কিন্নর জেলাতেও হড়পা বান নেমেছে। কুলুর চোজ গ্রামে কমপক্ষে চারজন ও বেশকিছু গবাদি পশু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। উদ্ধারকারী দল পাঠানো হলেও, ধসের জেরে উদ্ধারকারী দল মাঝপথেই আটকে পড়েছে। মালানা ২ বিদ্যু প্রকল্পে কর্মরত ২০-২৫ জনও একটি বিল্ডিংয়ের ভিতরে আটকে পড়েন হড়পা বানের জেরে। তাদের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, মণিকরণ উপত্যকার সমস্ত জলাধারেরই জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বাঁধ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। লারজি, পান্দোহ ও বিলাসপুরের প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।