Open Letter to Supreme Court: ‘লক্ষ্মণরেখা পার করেছে শীর্ষ আদালত’, নিন্দা করে খোলা চিঠি ১১৭ বিশিষ্টের

Open letter to CJI: শুনানি চলাকালীন নূপুর শর্মাকে ভর্ৎসনা করার প্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টকে এক খোলা চিঠি লিখলেন ১১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি।

Open Letter to Supreme Court: 'লক্ষ্মণরেখা পার করেছে শীর্ষ আদালত', নিন্দা করে খোলা চিঠি ১১৭ বিশিষ্টের
খোলা চিঠি লিখলেন ১১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2022 | 5:16 PM

নয়া দিল্লি: বিতর্কিত মন্তব্য করে বিজেপি থেকে বরখাস্ত হওয়া নূপুর শর্মাকে, সম্প্রতি শুনানি চলাকালীন মৌখিকভাবে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপর মঙ্গলবার ১৫ জন প্রাক্তন বিচারপতি, ৭৭ জন প্রাক্তন আমলা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ২৫ জন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার – সব মিলিয়ে ১১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালতের ওই ভূমিকার সমালোচনা করলেন। তাঁদের মতে, ওই পর্যবেক্ষণ আদালতের ‘লক্ষ্মণরেখা পার করা’র সামিল। এর ফলে সুপ্রিম কোর্টের ‘পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে’ এবং ‘সম্মানহানি হয়েছে’ বলে দাবি করেছেন এই বিশিষ্টরা। শুধু তাই নয়, ওই বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে বিশৃঙ্খলা চলছে, তার জন্য আদালত এককভাবে নূপুর শর্মাকেই দায়ী করেছিল। এইভাবে, আদালত ‘কার্যত নিজেদের দোষ ঢাকতে চেয়েছে’ বলেও দাবি করা হয়েছে এই খোলা চিঠিতে।

সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দয়ের করা হয়েছে।। সেগুলিকে একত্রিত করে দিল্লিতে স্থানান্তর করার আবেদন করেছিলেন বিজেপির এই প্রাক্তন মুখপাত্র। গত ১ জুলাই, তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। বদলে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার অবকাশকালীন বেঞ্চ, অসংযত মন্তব্যের জন্য নূপুরকে তিরস্কার করে। তবে, তা ছিল একেবারেই মৌখিক পর্যবেক্ষণ, চূড়ান্ত রায়ে নথিবদ্ধ করা হয়নি। বিচারপতিদের ওই ধরনের মন্তব্যকে ‘দুর্ভাগ্যজনক এবং নজিরবিহীন’ বলা হয়েছে বিশিষ্টদের চিঠিতে। আরও বলা হয়েছে, এটা ‘বিচার ব্যবস্থার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ শীর্ষ আদালত এই ক্ষেত্রে ‘লক্ষ্মণরেখা পার করেছে’ বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রাক্তন বিচারপতি, আমলা, সেনা কর্তারা আরও বলেছেন, নূপুর শর্মার আবেদনের সঙ্গে আদালতের ওই পর্যবেক্ষণের কোনও যোগই ছিল না। বরখাস্ত হওয়া বিজেপি মুখপাত্রকে বিচার ব্যবস্থার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করাটা ‘ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা, চেতনা এবং সারমর্মের অবমাননা’ বলেও দাবি করা হয়েছে এই খোলা চিঠিতে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন নূপুরের ক্ষেত্রেই আইনি মামলাকে ভিন্নভাবে বিবেচনা করা হল?

চিঠির নিচে ১১৭ জন বিশিষ্ট স্বাক্ষরকারীদের নামের মধ্যে রয়েছে বম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ক্ষিতিজ ব্যাস, গুজরাট হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এস এম সোনি, রাজস্থান হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরএস রাঠোর, দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এস এন ধিংরা, প্রাক্তন আইএএস অফিসার আরএস গোপালন, এস কৃষ্ণ কুমার, প্রাক্তন শীর্ষ আইপিএস অফিসার এসপি বৈদ, পিসি ডোগরা, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভি কে চতুর্বেদী (অবসরপ্রাপ্ত), এয়ার মার্শাল এসপি সিং (অবসরপ্রাপ্ত) প্রমুখ।

প্রসঙ্গত গত শনিবার, নূপুর শর্মা মামলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের পর্যবেক্ষণের সমালোচনার বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা। এর ভার্চুয়াল ভাষণে বিচারপতি বলেছিলেন, ‘রায়দানের জন্য বিচারকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হলে, দেশ একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাবে।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচারাধীন মামলার বিষয়ে ব্যক্তিগত মত প্রকাশ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধি জারির আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে, তিনি গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। বিশিষ্টদের খোলা চিঠিতে কি সেটাই পাওয়া গেল?