surat: বাবা-মা-ভাইকে ‘বিষ’ মেশানো আলুর পরোটা খাইয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পগার পার যুবতী, তারপর…

গুজরাট: প্রমীককে মানতে পারেনি পরিবার। যার জেরে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষে যুবতী। গোটা পরিবারকে বিষ খাইয়ে প্রেমীকের সঙ্গে পালিয়ে গেল সে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর নাম খুশবু (১৮)। বেশ কয়েক বছর ধরে সে সচিন (২২) নামের স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে ছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ১৮ বছর পূর্ণ করে ওই যুবতী। জন্মদিনের দু’দিন পরেই সচিনের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ছক বানায় সে। অভিযোগ, ঘটনার দিন মা, বাবা ও ভাইদের জন্য আলুর পরোটা বানায় খুশবু। এরপর রান্না করা সেই পরোটায় মিশিয়ে দেয় বিষ। রাতের বেলা বাড়ির সদস্যদের বিষ মেশানো খাবার তুলে দেয় নিজেই। কিন্তু নিজে সেই খাবার খাওয়ার থেকে বিরত থাকে। বিষ মেশানো খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই অজ্ঞান হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন। এরপরই সুযোগের সৎ ব্যবহার করে অভিযুক্ত যুবতী। প্রেমীকের সঙ্গে পালিয়ে যায় বাড়ি থেকে। এরপর তারা রেজিস্ট্রি করে থানায় গিয়ে উপস্থিত হয়।

পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ বোধ করেন পরিবারের সদস্যরা। এরই মধ্যে যুবতীর বাবা দেখতে লক্ষ্য করেন যে বাড়িতে নেই খুশবু। ঘটনার কিছুক্ষণ পর থানা থেকে ফোন যায় ওই যুবতীর বাবার কাছে। পুলিশ জানায় যে তাঁর মেয়ে এবং জামাই বর্তমানে থানায় রয়েছে এবং তারা রেজিস্ট্রি করে বিয়ে সেরেছে।

তবে পরিবারের সদস্যদের শরীরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে খুশবু এবং তার স্বামী সচিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও একবার সচিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় খুশবু। পুলিশি তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে, খুশবুর পরিবার এবং সচিনের পরিবার একই পাড়ায় বসবাস করত। সেখান থেকে তাদের মধ্য বন্ধুত্ব তৈরি হয়। পরে সেই সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। জানা গিয়েছে, দু’বছর দশম শ্রেণির পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে সচিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সে। পরে পুলিশ গিয়ে এক পরিচিতর বাড়ি থেকে তাদের পকড়াও করে নিয়ে আসে। মেয়েকে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একাধিকবার পরিবারের তরফে বারণও করা হয়। পরে খুশবুর পরিবার ওই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকাতে গিয়ে থাকতেও শুরু করে। তা সত্বেও সচিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি খুশবু।

উল্লেখ্য, প্রণয়ের সম্পর্কের বজায় রাখতে গিয়ে অপরাধের সংখ্যা তুলনামূলক বেড়েই চলেছে দেশে। গতকাল এই রাজ্যে হাওড়ায় খুন হন এক ব্যবসায়ী। ‘প্রেমকে’বাঁচাতে স্বামীকে খুন? ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে ঘনীভূত হয় রহস্য। জানা যায়, হাওড়ার একটি লেদ কারখানার মালিকের বন্ধুর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী-র। তার প্রেমিক পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক। বিষয়টি জানতে পেরে জান ব্যবসায়ী। যার কারণে তাদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। এরপর বিকেলে প্রতিবাশীরা ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী-র ডাকাডাকি শুনে ঘরে গিয়ে দেখেন মেঝেতে থ্যাতলানো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ব্যবসায়ী। সারা গায়ে আঘাতের চিহ্ন। জানা গিয়েছে, পরে প্রেমিকের অ্যাম্বুলেন্সে করেই স্বামীর দেহ হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্ত্রী। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। গোটা ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে ব্যবসায়ীর স্ত্রী ও তার প্রেমিককে।

আরও পড়ুন: Punjab New CM: নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন চরণজিৎ সিং চন্নি, চূড়ান্ত ২ উপ-মুখ্যমন্ত্রীর নামও