Elephants: এদিক ওদিক ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙা হাঁড়ি, মহুয়া খেয়ে নেশায় বুঁদ হাতির পাল! তারপর যা হল…

Odisha: এক গ্রামবাসী বলেন, "ভোর ৬টা নাগাদ আমরা জঙ্গলে গিয়েছিলাম মহুয়া তৈরি করতে। কিন্তু গিয়ে দেখতে পাই সমস্ত হাঁড়ি ভাঙা, হাঁড়ির ভিতরে রাখা মহুয়া উধাও। কিছু দূর এগোতেই দেখতে পাই একপাল হাতি ঘুমোচ্ছে।"

Elephants: এদিক ওদিক ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙা হাঁড়ি, মহুয়া খেয়ে নেশায় বুঁদ হাতির পাল! তারপর যা হল...
মত্ত হাতির পাল। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2022 | 9:12 AM

ভুবনেশ্বর: গ্রামের দিকে শীত মানেই মহুয়ার রস। শীতের শুরু হতেই মহুয়া ফুল থেকে রস বের করে  তৈরি করা হয় দেশী মদ মহুয়া। ওড়িশার শিলিপদ গ্রামের বাসিন্দারা মহুয়া সংগ্রহ করতেই জঙ্গলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলেন সমস্ত হাঁড়িই ফাঁকা। কিন্তু কারা খেল এই মহুয়া? তবে মহুয়া’চোর’দের খুঁজতে বেশি বেগ পেতে হল না গ্রামবাসীদের। জঙ্গলের ভিতরে কিছুটা এগোতেই দেখা গেল নেশায় বুদ হয়ে পড়ে রয়েছে চোরেরা। তবে মানুষ নয়, মহুয়া চোর হল একপাল হাতি। দেখা গেল, মহুয়া খেয়েই জঙ্গলে ঘুম লাগিয়েছে তারা।

ওড়িশার কেওনঝড় জেলার শিলিপদ কাজু জঙ্গলে গ্রামবাসীরা ঢুকতেই দেখতে পান, ২৪টি বড় বড় হাতি মহুয়া খেয়ে ঘুমোচ্ছে। জঙ্গলের এক জায়গায় একটি বড় পাত্রেই জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখা ছিল মহুয়া ফুল। জল ভেবেই হাতির পাল ওই মহুয়ার রস খেয়ে ফেলে। ব্যাস, তারপরই নেশায় বুঁদ হয়ে যায় হাতিরা, জঙ্গলেই সুখনিদ্রা লাগায় তারা। গ্রামবাসীদের চিৎকার-চেঁচামেচিতেও তাদের ঘুম ভাঙেনি।

এক গ্রামবাসী বলেন, “ভোর ৬টা নাগাদ আমরা জঙ্গলে গিয়েছিলাম মহুয়া তৈরি করতে। কিন্তু গিয়ে দেখতে পাই সমস্ত হাঁড়ি ভাঙা, হাঁড়ির ভিতরে রাখা মহুয়া উধাও। কিছু দূর এগোতেই দেখতে পাই একপাল হাতি ঘুমোচ্ছে। তখনই বুঝতে পারি যে হাতির পাল মহুয়া খেয়ে নিয়েছে। নেশায় বুঁদ হয়ে তারা ঘুমোচ্ছে।”

জানা গিয়েছে, একপাল হাতির মধ্যে মোট নয়টি দাঁতাল হাতি ছিল। ছয়টি মহিলা হাতি ও নয়টি হাতির শাবকও ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মহুয়া সম্পূর্ণরূপে তৈরি ছিল না। জলে ভেজানো কাঁচা ফুল খেয়েই মত্ত হয়ে যায় হাতির পাল। তারা হাতিগুলিকে জাগানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। পরে বনদফতরে খবর দেওয়া হয়।  বন দফতরের আধিকারিকরা জঙ্গলে গিয়ে বাজনা বাজিয়ে ঘুম থেকে তোলে ওই হাতির পালকে।

ফরেস্ট রেঞ্জার ঘাসিরাম পাত্র জানান, বহু চেষ্টার পর সকাল ১০টা নাগাদ ওই হাতির পালকে ঘুম থেকে তোলা সম্ভব হয়। ঘুম থেকে উঠে হাতির পাল গভীর জঙ্গলের ভিতরে চলে যায়। তবে মহুয়া খেয়েই হাতির পাল নেশায় বুঁদ হয়ে গিয়েছিল কিনা, তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি বনদফতর।

অন্যদিকে, গ্রামবাসীদের দাবি, ভাঙা হাঁড়ির পাশেই ঘুমোচ্ছিল হাতিগুলি। এতেই বোঝা যাচ্ছে যে হাতিগুলি মহুয়া খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিল।