Egg Donation: প্রতি ডিম্বাণু দানে ২০ হাজার! মেয়ের ডিম্বাণু বিক্রি করে মোটা টাকার মুনাফা তুলত মা!

Minor Abuse: পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকার বয়ঃসন্ধি শুরু হতেই সুমাইয়া ও সৈয়দ তাকে ডিম্বাণু দেওয়ার জন্যে চাপ দিতে থাকেন। এই কাজে রাজি ছিল না ওই নাবালিকা।

Egg Donation: প্রতি ডিম্বাণু দানে ২০ হাজার! মেয়ের ডিম্বাণু বিক্রি করে মোটা টাকার মুনাফা তুলত মা!
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 11:10 AM

চেন্নাই: নাবালিকা কিশোরীকে দিয়ে জোর করে ডিম্বাণু দান করানোর অভিযোগ উঠল তার মা ও সৎ বাবার বিরুদ্ধে। রাজি না হওয়ায় তার উপর অত্যাচার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। বেশ কয়েক বার এই অত্যাচারের পর বাড়ি থেকে মা ও সৎ বাবার কবল থেকে পালাতে সক্ষম হয় সে। চলে যায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানে গিয়েই এই ঘটনার কথা জানায়। তার পর আত্মীয়ের সাহায্যে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। এর পরই ওই নাবালিকার মা, সৎ বাবা ও ওপর এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে নাবালিকার উপর অত্যাচার ও অবৈধ ভাবে ডিম্বাণু বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। ঘটনা সামনে আসার পর তদন্তে নেমেছে সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধ ভাবে ডিম্বাণু বিক্রিতে যুক্ত থাকা তিন জন হলেন ইন্দিরানী ওরফে সুমাইয়া (৩৩), সৈয়দ আলি (৪০) ও মালতি (৩০)। তামিলনাড়ুর এডোর থাকেন তাঁরা। সুমাইয়া ওই নাবালিকার মা। তিনি বহুদিন ধরেই বিভিন্ন বেসরকারি ফার্টিলিটি ক্লিনিকে ডিম্বাণু বিক্রি করেন। নাবালিকা তাঁর প্রথম পক্ষের মেয়ে। কয়েক বছর আগে সৈয়দকে বিয়ে করেছেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকার বয়ঃসন্ধি শুরু হতেই সুমাইয়া ও সৈয়দ তাকে ডিম্বাণু দেওয়ার জন্যে চাপ দিতে থাকেন। এই কাজে রাজি ছিল না ওই নাবালিকা। সে জন্যে সুমাইয়া তাকে মারধর করত। সৎ বাবা সৈয়দ তাকে বেশ কয়েকবার হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ ওই কিশোরীর। এ রকম বেশ কিছুদিন চলার পর সুমাইয়া ও সৈয়দের কবল থেকে পালিয়ে সালেমে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায় নাবালিকা কিশোরী। তার পর অভিযোগ দায়ের হয় পুলিশে।

ঘটনা নিয়ে এডোর সাউথের পুলিশ অফিসার পি বিজয় বলেছেন, “নাবালিকাকে ডিম্বাণু দিতে বাধ্য করায় গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। ওই নাবালিকাকে আট বার ডিম্বাণু দিতে বাধ্য করা হয়েছে।” বিজয় আরও জানিয়েছেন, প্রতি ডিম্বাণু দানের জন্যে সুমাইয়া ২০ হাজার ও মালতি ৫ হাজার টাকা করে কমিশন পেতেন। ঘটনা সামনে আসতে নড়ে চড়ে বসে সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। বেসরকারি ফার্টিলিটি সেন্টারে অবৈধ ভাবে ডিম্বাণু দানের বিষয়টি তদন্তে করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তামিলনাড়ু স্বাস্থ্যমন্ত্রী।