কোভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার ৯ দিন পরে মৃত্যু স্বেচ্ছাসেবকের

পরিবারের দাবি, ১৭ ডিসেম্বর তাঁর কাঁধে ব্যাথা শুরু হয়। পরবর্তী দু'দিন তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোতে শুরু করে। এরপর তাঁর মৃত্যু হয়।

কোভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার ৯ দিন পরে মৃত্যু স্বেচ্ছাসেবকের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jan 09, 2021 | 8:43 PM

ভোপাল: জোড়া প্রতিষেধকে অনুমোদন দিয়েছেন ডিসিজিআই। আনন্দে আত্মহারা গোটা দেশ। তার মধ্যেই ট্রায়ালে অংশ নিয়ে প্রাণ হারালেন ভোপালের স্বেচ্ছাসেবক। কোভ্যাকসিনের (Covaxin) ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করার ৯ দিন পরেই মৃত্যু হল তাঁর। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হচ্ছে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই স্বেচ্ছাসেবকের।

ভারত বায়োটেক সারা দেশে তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল চালাচ্ছে। ১২ ডিসেম্বর ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেছিলেন  ৪২ বছরের ওই ব্যক্তি। মধ্যপ্রদেশের পিপলস মেডিক্যাল কলেজে হয়েছিল তাঁর পরীক্ষামূলক টিকাকরণ। তারপরেই ২১ ডিসেম্বর প্রাণ হারান দীপক মারাওয়ই নামে ওই ব্যক্তি।

পরিবারের দাবি, ১৭ ডিসেম্বর তাঁর কাঁধে ব্যাথা শুরু হয়। পরবর্তী দু’দিন তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোতে শুরু করে। এরপর তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বিষক্রিয়ার কথা বলা হলেও ভিসেরা রিপোর্ট এলে এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। যে হাসপাতালে দীপক পরীক্ষামূলক টিকা নিয়েছিলেন, সেই হাসপাতালের ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ রাজেশ কপুর দাবি করেছেন, সমস্ত নিয়ম মেনেই টিকা দেওয়া হয়েছিল দীপককে। তবে তাঁকে টিকা না প্লাসেবো দেওয়া হয়েছিল, এখনও এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি রাজেশ।

মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ প্রভুরাম চৌধুরী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ার কথা কারণ হিসাবে এসেছে। দীপকের পরিবারের দাবি, টিকা নিয়ে আসার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করেছিলেন তিনি।ভোপালের এক সমাজকর্মী দাবি করেছেন, দীপককে করোনা টিকার ট্রায়ালের কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। যদিও হাসপাতালের তরফে এই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘নির্বাচন যেন রক্তক্ষয়ী না হয়’, শাহকে বাংলার হাওয়া বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন রাজ্যপাল

মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাং সিং চৌহান টুইট করে এই বিষয়ে কোনও ভুল তথ্য না ছড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর অনুমান, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দীপকের মৃত্যু হয়নি। কারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হত। এতদিন পরে নয়। মৃত্যুর কারণ হিসাবে টিকার যোগ উড়িয়ে দিয়েছে নির্মাতা ভারত বায়োটেকও। তাদের দাবি ৯ দিন পরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যালোচনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এই মৃত্যু হয়নি। প্রসঙ্গত, তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালের ফল আসার আগেই আপদকালীন ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মোডে’ অনুমোদন পেয়েছে কোভ্যাকসিন।