লখনউ: লঘু পাপেই গুরু দণ্ড। এমনকী, পাপও বলা চলে না। বাচ্চা ছেলে, স্কুলে একটা জিনিস আনতে ভুলে গিয়েছিল। তাতেই যা ভয়ঙ্কর শাস্তি দিল শিক্ষক! আরেকটু হলেই প্রাণ যেত নাবালকের। স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৭ বছরের নাবালককে বিবস্ত্র করে বিদ্যুতের শক দেওয়ার অভিযোগ উঠল। থানায় দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে। ৭ বছরের ওই পড়ুয়া স্কুলে ব্যাগ না নিয়েই চলে গিয়েছিল। ক্লাসে শিক্ষক বই বের করতে বললে, ইউকেজির পড়ুয়া যখন জানায় যে তার কাছে বই নেই, সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষক তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।
আক্রান্ত নাবালকের মায়ের দাবি, মারধরের পর অভিযুক্ত শিক্ষক ক্লাসে সবার সামনে পোশাক খুলিয়ে ওই পড়ুয়াকে কারেন্ট শক-ও দেন। বাড়ি ফিরে কাঁদতে কাঁদতে গোটা ঘটনাটি জানায় সে। এরপরই পুলিশের কাছে ছোটে পরিবার।
নাবালকের মা আরও বলেছেন, “সাধারণত আমার স্বামীই স্কুলে নিয়ে যেতেন ছেলেকে। কিন্তু সেদিন বাড়ি ছিলেন না। আমারও শরীর খারাপ থাকায় নিয়ে যেতে পারিনি। ওঁর ঠাকুর্দা স্কুলে নিয়ে যায়। বয়স্ক মানুষ, খেয়ালই করেননি নাতির কাছে ব্যাগ নেই। তার জন্য এমন শাস্তি পেতে হবে, কেউ কল্পনাও করেনি।”
পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পর অভিভাবকরা মিলে স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। এদিকে, স্কুল করেতৃপক্ষের দাবি, পড়ুয়াকে এভাবে নির্যাতন করার দাবি মিথ্যা। স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেন, “ইলেকট্রিক শক দেওয়ার বিষয়টা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে। পুলিশকে ফুটেজ দেখাব আমরা”।