Congress: বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর একটি বড় দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কংগ্রেস, এখন বাকি শুধু ওয়ার্কিং কমিটির সবুজ সংকেত

Congress Meeting: বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বা জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতাদের একটি মূল দাবি ছিল কংগ্রেস পার্লামেন্টারি বোর্ড গঠন করা। রাজস্থানে কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই বিষয়টিকে একটি পরামর্শ হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও এই পরামর্শটিতে এখন দলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অঙ্গ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন।

Congress: বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর একটি বড় দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কংগ্রেস, এখন বাকি শুধু ওয়ার্কিং কমিটির সবুজ সংকেত
রাজস্থানে কংগ্রেসের বৈঠক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2022 | 11:30 PM

নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের বৈঠকে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতাদের একটি বড় দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বা জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতাদের একটি মূল দাবি ছিল কংগ্রেস পার্লামেন্টারি বোর্ড গঠন করা। রাজস্থানে কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই বিষয়টিকে একটি পরামর্শ হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও এই পরামর্শটিতে এখন দলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অঙ্গ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতাদের এটি একটি মূল দাবি ছিল। বর্তমানে দলের লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের চূড়ান্ত করে কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটি। এই কমিটির বদলে কংগ্রেসের পার্লামেন্টারি বোর্ড তৈরির দাবি করছিলেন জি-২৩ নেতারা।

দলীয় সূত্রে খবর, গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠরা কংগ্রেস পার্লামেন্টারি বোর্ডের এই প্রস্তাবটি যাতে গ্রহণ না করা হয় সেই চেষ্টায় কোনও খামতি রাখছেন না। আর এই নিয়েই দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব দেখা গিয়েছে। তবে এই নতুন পদের জন্য নির্বাচন হবে, নাকি নিয়মিত সদস্যদের নিয়ে এটি গঠিত হবে, নাকি দলের সভাপতি মনোনয়ন দেবেন এই বোর্ডের সদস্যদের তা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা কপিল সিবালকে ছাড়াই চিন্তন শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। দলীয় সূত্র জানা গিয়েছে, বিক্ষুব্ধ নেতারা সকলে একমত হলে তাঁরা একটি বিবৃতিও প্রকাশ করতে পারেন।

এদিকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটের প্রশ্নে, ১৩৭ বছরের পুরানো কংগ্রেস শিবির বিজেপি বিরোধী এমন বিভিন্ন দলের সঙ্গে রাজ্যভিত্তিক জোট করতে আগ্রহী। উল্লেখ্য, এই বছরের শেষেই কংগ্রেসের নতুন সভাপতি বেছে নেওয়া হবে। সেই নির্বাচনে রাহুল গান্ধী অংশ নেবেন কি না, তা নিয়ে তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও ইঙ্গিত দেননি। ফলে দলের নেতৃত্ব নিয়ে একটি প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে তিনি এখনও মনে করেন যে দলের নেতৃত্বে গান্ধী পরিবারের বাইরের কারও থাকা দরকার।