Maharashtra Political Crisis: ঠাকরের নয়া চালেও ‘বেপরোয়া’ শিন্ডে, বললেন, “আমরা আসল শিব সৈনিক”

Maharashtra Political Crisis: মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের টালমাটাল অবস্থা নিয়ে গতকালই বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। শিবসেনার তরফে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, বিকেল ৫টার ওই বৈঠকে যদি বিক্ষুব্ধ বিধায়করা যোগ না দেন, তবে তাদের দল থেকে বরখাস্ত করা হবে।

Maharashtra Political Crisis: ঠাকরের নয়া চালেও 'বেপরোয়া' শিন্ডে, বললেন, আমরা আসল শিব সৈনিক
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 24, 2022 | 11:47 AM

মুম্বই: যেকোনও সময়েই উল্টে যেতে পারে মহারাষ্ট্রের গদি (Maharashtra Political Turmoil)। বিধায়করা চাইলে ইস্তফা দেবেন, এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ইতিমধ্যেই সরকারি বাসভবন ছেড়ে তিনি নিজের বাড়ি ‘মাতোশ্রী’তে ফিরে এসেছেন। তবে শিবসেনা প্রধানও এত সহজে হার মানার পাত্র নন। বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডেকে শায়েস্তা করতেই নয়া কৌশল তৈরি করল শিবসেনা। বৃহস্পতিবারই শিবসেনার তরফে ১২ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানানো হয়। এই তালিকায় রয়েছে একনাথ শিন্ডে ও তাঁর ছেলের নামও। তবে সদস্যপদ খারিজ হওয়ার ভয় পাননি শিন্ডে। একাধিক টুইট করে তিনি লেখেন, “শিবসেনা কাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে?”

মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের টালমাটাল অবস্থা নিয়ে গতকালই বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। শিবসেনার তরফে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, বিকেল ৫টার ওই বৈঠকে যদি বিক্ষুব্ধ বিধায়করা যোগ না দেন, তবে তাদের দল থেকে বরখাস্ত করা হবে।

এই হুঁশিয়ারির পরই মুখ খোলেন একনাথ শিন্ডে। একাধিক টুইটে তিনি বুঝিয়ে দেন, আইন তিনিও বোঝেন। এভাবে তাঁকে ভয় দেখানো যাবে না। প্রথম টুইটেই তিনি লেখেন, “কাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন? আপনাদের মেক-আপ ও আইনও জানি আমরা। সংবিধানের ১০ নং ধারা অনুযায়ী বিধানসভার কাজের জন্য হুইপ জারি করা যায়, দলীয় বৈঠকের জন্য নয়। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টেরও একাধিক রায় রয়েছে।”

পরবর্তী টুইটে তিনি বলেন, “১২ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের ভয় দেখাতে পারবেন না। কারণ আমরা আসল শিবসেনা এবং শিবসেনা প্রধান বালা সাহেব ঠাকরের শিব সৈনিক।”

উল্লেখ্য, শিবসেনার তরফে বিধায়কদের বিতাড়িত করার জন্য আবেদন জমা দেওয়া হলেও, দলের তরফে এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। বিধায়ক হওয়ার কারণে একমাত্র বিধানসভার স্পিকারই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

গতকালের বৈঠকে বিক্ষুব্ধ বিধায়করা যোগ না দেওয়ার পরই শিবসেনার তরফে ডেপুটি স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানানো হয় এবং দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য দলত্যাগ-বিরোধী আইন প্রয়োগ করে তাদের যেন বিধায়ক পদ ও শিবসেনার সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া হয়, তার আবেদন জানান। অন্যদিকে, একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় ৩৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে।