Agnipath Protest: ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে অগ্নিগর্ভ সেকেন্দরাবাদ, গুলিতে মৃত ১, আহত ১৫
Agnipath Protest: ক্ষিপ্ত জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের মাঝেই গুলি চলে। শেষ খবর পাওয়া অবধি, গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।
হায়দরাবাদ: দেশের দক্ষিণ প্রান্তেও ছড়়িয়ে পড়ল অগ্নিপথ বিতর্কের আঁচ। এ দিন সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয় তেলঙ্গানার সেকেন্দরাবাদে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামে পুলিশ। কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ক্ষিপ্ত জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের মাঝেই গুলি চলে। শেষ খবর পাওয়া অবধি, গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।
চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রের তরফে অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। এরপরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিগত তিন দিন ধরেই বিহার, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ডের মতো একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ক্ষুব্ধ জনতা। এবার দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও বিতর্কের আঁচ পৌঁছে গেল। এ দিন সকাল থেকেই সেকেন্দরাবাদ স্টেশনে বিক্ষোভ শুরু হয়। ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। বিক্ষোভকারীরা তিনটি ট্রেনে আগুনও লাগিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও সেনা নামানো হয়। বিক্ষুব্ধ জনতাকে সরাতে গুলিও চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই গুলিতেই এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।
জানা গিয়েছে, ওই বিক্ষোভকারীর নাম দামোদর রাকেশ। তেলঙ্গানার ওয়ারেঙ্গালের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সকাল থেকেই সেকেন্দরাবাদ স্টেশনে কেন্দ্রের প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। আচমকাই পুলিশের গুলিতে আহত হন তিনি। দ্রুত পুলিশকর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, ক্ষত অনেক গভীর হওয়ায় এবং অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ মোট ১৭ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। গুলির আঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৩ থেকে ১৫ জন। একজনকে ক্রিটিকাল কেয়ারে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত ওই যুবক ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সকাল থেকেই স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের উপরে পাথর ছুঁড়ছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে লাইনে নেমে তাঁরা অবরোধ দেখাতে শুরু করেন। তিনটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তাদের উপরও পাথর ছুঁড়তে শুরু করে বিক্ষুব্ধ জনতারা। বাধ্য হয়ে গুলি চালাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।