এলাহাবাদ: বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে লিভ-ইন সম্পর্কের (Live-in relation) হার ক্রমশ বাড়ছে। এবার এই বিষয়ে পর্যবেক্ষণ জানাল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “এই পদ্ধতি ভারতে বিবাহের প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে কাজ করছে।” লিভ-ইন পার্টনারকে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করার ভিত্তিতে এই পর্যবেক্ষণ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High court)।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের শাহরানপুরের বাসিন্দা আদনান তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী ১৯ বছর বয়সি এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। তাঁরা একবছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। ওই তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে আদনান তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তখন ওই তরুণী আদনানের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অস্বীকার ও যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ দায়ের করেন। এই মামলায় আদনান এলাহাবাদ হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন।
আদনানের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছে যে, লিভ-ইন সম্পর্ক “নিরাপত্তা, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা এবং স্থিতিশীলতা”-কে কখনই প্রদান করে না।” বিচারপতি আরও বলেন, “মরশুমের সঙ্গে পার্টনার বদল করার ধারণাকে একটি স্থিতিশীল এবং সুস্থ সমাজের বৈশিষ্ট্য হিসাবে বিবেচনা করা যায় না।” এটা ভবিষ্যতে একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আদনানের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।