করোনার কোপে ভারতের আর্থিক ক্ষতিই সবচেয়ে বেশি, ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে অনেকটাই

অক্সফোর্ড ইকনোমিক্সের একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, কোভিড চলে যাওয়ার পরও বিশ্বব্যাপী যতগুলি বড় অর্থনীতি শক্তি রয়েছে তাদের মধ্যে ভারত-ই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে

করোনার কোপে ভারতের আর্থিক ক্ষতিই সবচেয়ে বেশি, ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে অনেকটাই
ভারতীয় অর্থনীতির পতন
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 7:19 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ভারতের অর্থনীতির (Indian Economy) শিরদাঁড়ায় করোনা (Coronavirus) নামক অতিমারি যে চিড় ধরিয়েছে, তার প্রভাব অনেকদিন ধরে ভুগতে হবে দেশকে। সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইকনোমিক্সের (Oxford Economics) একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, কোভিড (Covid-19) চলে যাওয়ার পরও বিশ্বব্যাপী যতগুলি বড় অর্থনীতি শক্তি রয়েছে তাদের মধ্যে ভারত-ই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

অক্সফোর্ডের অর্থনীতি বিভাগের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান প্রিয়াঙ্কা কিশোর এই রিপোর্টে লিখেছেন, আগামী পাঁচ বছর ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি (GDP) খুব বেশি হলে হবে ৪.৫ শতাংশ। কোভিড পূর্ববর্তী সময় যেটা ৬.৫ শতাংশ ছিল। তাঁর আশঙ্কা, ‘আসছে সময়ে শ্রমিকদের বাজার, ব্যাঙ্ক নয় এমন অর্থনৈতিক সংস্থা ও অন্যান্য ব্যাঙ্কিং সেক্টরের পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপ হবে।’ ভারতের অর্থনীতিতে কোভিডের এই ধাক্কায় ‘দীর্ঘমেয়াদি ক্ষত’ সৃষ্টি হতে দেখছেন প্রিয়াঙ্কা। এমন এক ক্ষত যা গোটা বিশ্বের সমস্ত অর্থনৈতিক শক্তিগুলির মধ্যে সবচেয়ে গভীর।

দেশের অর্থনীতির ‘অচ্ছে দিন’ ফিরে আসার কোনও ইঙ্গিত আপাতত দেখা না গেলেও তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৫ লক্ষ কোটির ইকোনমির স্বপ্ন ফেরির পথে বাধা হয়ে উঠতে পারেনি। বর্তমান ২.৮ লক্ষ কোটি থেকে ২০২৫-এর মধ্যে ৫ লক্ষ কোটি ইকোনমির যে চ্যালেঞ্জ তিনি নিয়েছিলেন, তা এই সময় দাঁড়িয়ে অবাস্তব মনে হচ্ছে অর্থনীতিবিদদের। আর্থিক বৃদ্ধিকে উৎসাহ দিতে সরকার কিছু পদক্ষেপ করেছে ঠিকই, কিন্তু চাহিদা বৃদ্ধি করার মতো কোনও বড় ঘোষণার প্রত্যাশা থাকলেও তা পূরণ হয়নি। ফলে সরকারকে লাগাতার টাকার জোগান দিয়ে অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব এসে পড়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘাড়ে। গত সপ্তাহেই যারা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে, এই প্রথম আপাত মন্দা (টেকনিক্যাল রিসেশন) গ্রাস করেছে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে।

আরও পড়ুন: রাহুল-মনমোহনকে ‘অপমান’! ওবামার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল উত্তর প্রদেশে

আইএমএফ জানাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে হতে, অর্থাৎ আগামী মার্চ পর্যন্ত ভারতের জিডিপি মাইনাস ১০.৩ শতাংশে গিয়ে ঠেকতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের নির্দেশে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ার ফলে সমস্ত ধরনের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পঙ্গু হয়ে যায়। এখন ক্রমেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে এবং আর্থিক অবস্থা ধীর লয়ে ছন্দে ফেরার চেষ্টাও চালাচ্ছে। তবে লকডাউন যে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে, তা সহজে সেরে ওঠার নয়।