
জয়পুর: বালির পাহাড়ের আড়ালেই রয়েছে পাকিস্তানে ঢোকার চোরাগুপ্ত রুট? ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এক যুবক বিএসএফ(BSF)-র হাতে ধরা পড়ার পরই এই প্রশ্ন উঠছে। শনিবার, ৬ ডিসেম্বর রাজস্থানের বিকানিরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছ থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ওই যুবক পাকিস্তানে ঢোকার চেষ্টা করছিল। চমকের বিষয় হল, কয়েক বছর আগে এই যুবক ঠিক এই জায়গা থেকেই উধাও হয়ে গিয়েছিল এবং পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিল।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম প্রশান্ত ভেদম। সে অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা। শনিবার রাতে তাঁকে বিএসএফ নিষিদ্ধ সীমান্ত এলাকা বা নো এন্ট্রি জোন থেকে ধরে। অভিযুক্ত যুবকের উদ্দেশ্য় ছিল একটাই, পাকিস্তানে প্রবেশ করা। প্রশান্ত জানিয়ছে, সে বিশাখাপত্তনম থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। দেশের নানা প্রান্ত ঘুরে রাজস্থানের বিকানিরে সোজা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গিয়ে পৌঁছয়।
বিএসএফ জানিয়েছে, প্রশান্ত থর মরুভূমিতে উদ্দেশ্যহীনের মতো হাঁটছিল। তবে সে সোজা সীমান্তের দিকেই যাচ্ছিল। তাঁকে যখন ধরা হয়, তখন সে স্বীকার করে নেয় যে কাঁটাতারের কোনও ফাঁক খুঁজছিল, যেখান দিয়ে সে পাকিস্তানে ঢুকে পড়তে পারে। তাঁর বক্তব্য়ে অসঙ্গতি পেতেই সেনা ধৃতকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাঁকে জেরা করছে। এদিকে, ওই যুবক ধরা পড়ার পরই বিএসএফ, সেনা বাহিনীও তৎপর হয়েছে। ঘিরে ফেলা হয়েছে এলাকা।
তবে গোয়েন্দাদের চিন্তা বাড়িয়েছে যুবকের কীর্তি। জেরায় জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালেও পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিল ওই যুবক। সেই সময় কারনি পোস্ট দিয়ে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ করেছিল যুবক। পাকিস্তানি সেনা তাঁকে গ্রেফতার করে। ২০২১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের জেলেই ছিল। পরে আত্তারি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফেরত পাঠানো হয় আইনি ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। পাকিস্তানের জেলে দীর্ঘ চার বছর কাটানোর পরও কেন ওই যুবক ফের পাকিস্তানেই অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিল, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছে যে প্রশান্ত একাই এসেছিল নাকি কেউ তাঁকে ডেকেছিল? বিএসএফ, স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দারা যৌথভাবে তদন্ত করছে। কোন পথে বিশাখাপত্তনম থেকে বিকানিরে এসেছিল, কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।