Rajasthan Turmoil: ‘আমার কোনও হাত নেই’ দাবি গেহলটের, মানতে নারাজ কংগ্রেস হাইকম্যান্ড
Rajasthan: রবিবার পরিষদীয় দলের বৈঠকের জন্য রাজস্থানে গিয়েছিলেন দলীয় পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, খাড়্গের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অশোক।
জয়পুর: রাজস্থান নিয়ে কংগ্রেসের অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট অনুগামী ৯০ কংগ্রেস বিধায়ক হঠাৎ করে বিদ্রোহী হয়ে ওঠায় পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে শেষমেশ হস্তক্ষেপ করেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সম্ভবত কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন গেহলট। রাজস্থানের পরিস্থিতির জন্য ইতিমধ্যেই তিনি ‘ক্ষমা’ চেয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য বিশেষ আস্থাভাজন গেহলটের ওপর ক্ষুব্ধ সনিয়া-রাহুলরা।
রবিবার পরিষদীয় দলের বৈঠকের জন্য রাজস্থানে গিয়েছিলেন দলীয় পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, খাড়্গের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অশোক। বিধায়কদের সঙ্গে পৃথক বৈঠককে ‘ভুল’ অ্যাখা দিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, ‘এমনটা না হলেই ভাল হত।’ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের কাছে তিনি দাবি করেছেন, এই পরিস্থিতির পিছনে তাঁর কোনও হাত নেই। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, গেহলটের যুক্তি কোনওভাবে মানতে রাজি হননি খাড়্গে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়া কোনওভাবেই এমনটা হতে পারে না।
গেহলটপন্থী বিধায়করা গণ ইস্তফার হুমকি দিয়ে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, অশোক কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেও কোনওভাবেই তাঁরা সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মানবেন না। এমনকী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার।
আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। এই পদে লড়ার জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা গেহলটের। শেষমেশ সভাপতি পদে তিনি আদৌ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা, সেই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে সভাপতি নির্বাচনের অন্য আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী কমলনাথ সোমবারই দিল্লি পৌঁছে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তবে সভাপতি নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা অস্বীকার করে সংবাদ সংস্থা এএনআই তিনি জানিয়েছেন, “কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াইয়ের জন্য আমার কোনও আগ্রহ নেই। নবরাত্রির শুভেচ্ছা জানাতেই আমি এখানে এসেছি।”