Assam Flood: লাগাতার বৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন একাধিক জেলা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও, ত্রাণ পৌঁছতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন
Assam Flood: জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ২ লক্ষ ২ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ২৬টি জেলার প্রায় ৮১১ টি গ্রামের ৬৫০০-রও বেশি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গুয়াহাটি: প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিতেই বানভাসি অসম(Assam)। গত সপ্তাহের শেষভাগ থেকে অসম ও পার্শ্ববর্তী মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশে যে লাগাতার বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তার জেরে ভয়াবহ বন্যা(Flood)-র সৃষ্টি হয়েছে অসমে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যার জেরে মোট ২৬টি জেলা বিপর্যস্ত হয়েছে, ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ। বন্যায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৮ জনের। এখনও অবধি ৪০ হাজার বাসিন্দাকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বন্যায় সবথেকে বিপর্যস্ত হয়েছে দিমা হাসাও জেলা। বিগত তিনদিন ধরে গোটা রাজ্যের সঙ্গে যাবতীয় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে এই জেলার।
বিগত কয়েকদিন ধরে অসম ও প্রতিবেশী রাজ্য মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশে লাগাতার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর জেরে কোপিলি সহ একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। বন্যার জেরে রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়েছে। সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত রেল পরিষেবাও। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়ার কাছে গুয়াহাটি থেকে হাফলংয়ের রাস্তা দ্রুত সারাইয়ের অনুরোধ করা হয়েছে। এই রাস্তা সারাই হলেই দিমা হাসাও জেলায় শুকনো খাবার সহ ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
অসম জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করার জন্য ড্রোন ও স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হবে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ২ লক্ষ ২ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ২৬টি জেলার প্রায় ৮১১ টি গ্রামের ৬৫০০-রও বেশি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তরফে ২৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল। প্রায় ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ ৭২টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার জেরে যে সমস্ত জেলাগুলি সবথেকে বিপর্যস্ত হয়েছে, সেগুলি হল কাচার, দিমা হাসাও, হোজাই, চারাইদেও, দারাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, বাজালি, বাকসা, বিশ্বনাথ ও লখিমপুর।
বন্যায় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দিমা হাসাও জেলা। মঙ্গলবার লাগাতার বৃষ্টির জেরে সেই জেলার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। লুমডিং-বাদরপুর সিঙ্গল লাইন রেলওয়ে রুটটিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রেললাইনটি সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়ায়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মনিপুরের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।