Assam Flood: ট্রেন লাইনই এখন ‘ঘর’ ৫০০-রও বেশি মানুষের, বৃষ্টিতে আরও খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি

Assam Flood: উদ্ধারকাজে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ছাড়াও সেনাবাহিনী, প্যারামিলিটারি বাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর হাত লাগিয়েছে। বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে এখনও অবধি নৌকা ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ২১ হাজার ৮৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

Assam Flood: ট্রেন লাইনই এখন 'ঘর' ৫০০-রও বেশি মানুষের, বৃষ্টিতে আরও খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি
বন্যায় ঘরছাড়া একরত্তি শিশুও। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 21, 2022 | 10:07 AM

গুয়াহাটি: ক্রমশ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে অসমে(Assam)। লাগাতার বৃষ্টির জেরে রাজ্যে বন্যা (Flood) পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিগত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের প্রায় ২৯টি জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। ঝড়-বৃষ্টি ও ধসের কারণে এখনও অবধি ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে (Pre-monsoon Rain) এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে অসমে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ-ও।

অসম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবারের হিসাব অনুযায়ী, রাজ্যের ২৯টি জেলার ২৫৮৫টি গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ৮.১২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নাগাঁও জেলা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন সেখানে। এরপরই রয়েছে কাচার জেলা, সেখানে প্রায় ১.৬ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। বন্যার জেরে হোজাই জেলাতেও ৯৭ হাজার ৩০০ জন মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে প্রশাসন সূত্রে।

উদ্ধারকাজে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ছাড়াও সেনাবাহিনী, প্যারামিলিটারি বাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর হাত লাগিয়েছে। বন্যা দুর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে এখনও অবধি নৌকা ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ২১ হাজার ৮৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, লাগাতার বৃষ্টি ও ধসের জেরে দক্ষিণ অসমের দিমা হাসাও জেলার সঙ্গে বিগত ছয়দিন ধরে বাকি রাজ্যের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ধসের কারণে সড়কপথ ও রেললাইনও ভেঙে গিয়েছে। এই জেলা থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে। বন্য়াদুর্গত এলাকাগুলি থেকে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারের পাশাপাশি খাদ্যশস্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যও সরবরাহ করা হচ্ছে।

বন্যায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দিমা হাসাওতে, তা খতিয়ে দেখছেন ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরোর একদল বিজ্ঞানী। উপগ্রহ চিত্র ও তথ্য়ের ভিত্তিতে বন্যাদুর্গত ওই এলাকা থেকে উদ্ধারকাজের পরিকল্পনা করা হবে। অসম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে। রাজ্যজুড়ে মোট ৩৪৩ ত্রাণ শিবির ও ৪১১টি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। ইউনিসেফের তরফেও একটি দল পাঠানো হয়েছে ত্রাণ বিতরণের জন্য।