Assam Minor Assault Case: নাবালিকা আত্মীয়াকে ধর্ষণ! অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত

জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর ১১ বছর বয়সী নাবালিকা আত্মীয়াকে ২০২১ সালে ধর্ষণ করে। তামারহাট থানা এলাকার রামনাথপাড়াতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল।

Assam Minor Assault Case: নাবালিকা আত্মীয়াকে ধর্ষণ! অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2022 | 2:10 PM

ধুবরী: বুধবার অসমের ধুবরীতে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে স্থানীয় আদালত। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধ তাঁর নাবালিকা আত্মীয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। আদালতে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর ১১ বছর বয়সী নাবালিকা আত্মীয়াকে ২০২১ সালে ধর্ষণ করে। তামারহাট থানা এলাকার রামনাথপাড়াতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। বুধবার ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন ধুবরী জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক তথা পকসো বিশেষ বিচারক পি কাটাকি।

নির্দেশে বিচারক বলেন, “এই মামলা নিয়ে রায়দানের আগে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আমি উল্লেখ করতে চাই, নারী শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে অনেকে সময়ই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় না অথবা শিশুদের ধর্ষণের ঘটনা অনেক সময়ই প্রকাশ্যে আসে না। কিন্তু শিশুদের ওপর যৌন অপরাধ অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং দিনের পর দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণভাবে নারী শিশুরা ধর্ষণের বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞ এবং কোনও ব্যক্তির যৌন অত্যাচার প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয় না। সেই কারণে দুর্বৃত্তরা সহজেই তাদের নিজেদের শিকার বানাতে সক্ষম হয়। সভ্য সমাজে এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং এমন অপরাধ সংঘটিত হলে কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।”

বিচারক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাঁকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সরকারি আইনজীবী উত্তম কুমার সরকার জানিয়েছেন, এই মামলা প্রথমে তামারহাট থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছিল পরবর্তীকে কালে পকসো বিশেষ বিচারকের আদালতে তা স্থানান্তরিত হয়। সরকারি আইনজীবী বলেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০২১ সালের ৩১ অগস্ট ওই নাবালিকা আত্মীয়াতে ধর্ষণ করেছিল। ধর্ষণের পর নাবালিকা যখন কেঁদে ওঠে তখন অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে ১০০ টাকা ও একটি চিপসের প্যাকেট দিয়েছিল। পরবর্তীকালে নাবালিকা তাঁর মাকে গোটা ঘটনার কথা জানায়। মেয়ের থেকে সব ঘটনা শুনে তাঁর মা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল এবং পুলিশ অভিযোগ পেয়ে নির্দিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে।”