Hindu Marriage: হিন্দু মেয়েদের বিয়ে নিয়ে ‘মুসলিম ফর্মুলা’ বাতলে ‘লজ্জিত’ সাংসদ, চাইলেন ক্ষমাও
অসমের সাংসদের এই মন্তব্যের পরই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তীব্র কটাক্ষ করেন নেটিজেন থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও।
গুয়াহাটি : হিন্দু মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা নিয়ে অবশেষে ক্ষমা চাইলেন অসমের সাংসদ বাদরুদ্দিন আজমল। ঘরে-বাইরে চাপে পড়েই ক্ষমা চাইলেন তিনি। বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য বাদরুদ্দিন আজমল ‘লজ্জিত’ জানিয়ে বলেন, “কারও সম্প্রদায়ের আবেগে আঘাত করার কোনও ইচ্ছা ছিল না।”
অসমের অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (AIUDF)-এর প্রধান, সাংসদ বাদরুদ্দিন আজমল হিন্দু মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে মন্তব্যের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “কোনও সম্প্রদায়ের আবেগে আঘাত করার আমার কোনও ইচ্ছা ছিল না। প্রবীণ নেতা হিসাবে আমার এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত ছিল না। আমার মন্তব্যে আঘাত পাওয়ার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। ওই বিবৃতির জন্য আমি লজ্জিত। আমি চাই, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে সরকার ন্যায় বিচার করুক এবং তাদের শিক্ষা, চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।” তবে জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন অসমের সাংসদ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই হিন্দু মেয়েদের বিয়ে এবং সন্তান জন্ম দেওয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন সাংসদ বাদরুদ্দিন আজমল। হিন্দু মেয়েদের ‘মুসলিমের ফর্মুলা’ অনুসরণ করা উচিত দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকারি নির্দেশ মেনে মুসলিম ছেলেরা ২০-২২ বছরের মধ্যে এবং মুসলিম মেয়েরা ১৮ বছর হলেই বিয়ে করে নেন। অন্যদিকে, হিন্দুরা পরিবারের চাপে ৪০ বছরের পর বিয়ে করে। হিন্দুদের বিয়ের আগে একটি, দুটি অথবা তিনটি অবৈধ সম্পর্ক থাকে।” এরপরই সন্তানের জন্ম দেওয়া প্রসঙ্গে আজমলের প্রশ্ন, “৪০ বছর বয়সে বিয়ে করে কী সন্তান পাবে? কেবল উর্বর জমিতেই চাষ হয়।” তাই হিন্দু ছেলে-মেয়েদের ‘মুসলিম ফর্মুলা’ মেনে চলার বিধান দিয়ে সাংসদ আরও বলেন, “হিন্দু ছেলেদেরও ২০-২২ বছরের এবং মেয়েদের ১৮-২০ বছরের মধ্যে বিয়ে করা উচিত। তারপর দেখ, অনেক সন্তানের জন্ম হবে।”
অসমের সাংসদের এই মন্তব্যের পরই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তীব্র কটাক্ষ করেন নেটিজেন থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। অসমের বিজেপি বিধায়ক দিগন্ত কালিতা AIUDF প্রধানের তীব্র নিন্দা করে বলেন, তাঁর বাংলাদেশে গিয়ে থাকা উচিত। আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে এই ধরনের মন্তব্যের জন্য সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি তোলেন অসমের কংগ্রেস নেতা দেবব্রত সাইকিয়া।