Assam Flood: প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে জলস্তর, ধসে বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাও, ২ দিনেই মৃত্যু ৩১ জনের
Assam Flood: সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। বন্যা প্লাবিত এলাকাগুলিতে প্রায় প্রতি ঘণ্টায় জলস্তর বাড়ছে। চাষের জমিগুলিও সম্পূর্ণ ডুবে গিয়েছে।
গুয়াহাটি: পাশাপাশি দুই রাজ্য, মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে দুই জায়গাতেই। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বর্ষা প্রবেশ করতেই পশ্চিমবঙ্গের দুই প্রতিবেশী রাজ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গত মাসেই প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে বন্যা শুরু হয়েছিল অসমে। বর্ষা প্রবেশ করতেই আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে বন্যা পরিস্থিতি। পাশাপাশি দুই রাজ্যেই নদীগুলির জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধসও। লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিগত কয়েক দিনে কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। জলের তলায় ডুবে গিয়েছে প্রায় ৩ হাজার গ্রাম।
অসম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, লাগাতার বৃষ্টি, বন্যা ও ধসের কারণে ২৮টি জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমপক্ষে ১৯ লক্ষ মানুষ বন্যায় প্রভাবিত হয়েছেন। সবথেকে ভয়ঙ্কর অবস্থা বাজালি জেলায়। ব্রহ্মপুত্র ও গৌরাঙ্গ নদীর জল একাধিক জায়গাতেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর জেরে যেকোনও সময়েই বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।
বিগত দুই দিনে বন্যায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে অসমে। অন্যদিকে, মেঘালয়ে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যে অঞ্চলগুলিতে নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে, সেখানে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে নেমেছে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সেনাবাহিনীও ত্রাণ সরবরাহ ও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
At 6 am today,Hon PM Shri @narendramodi ji called me to enquire about #flood situation in #Assam. While expressing his concerns over the hardships being faced by people due to this natural calamity,Hon PM assured all help from Central Govt.
Humbled by his reassuring generosity.
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) June 18, 2022
অসমের যে জেলাগুলি বন্যায় সবথেকে প্রভাবিত হয়েছে, সেগুলি হল বাজালি, বাকসা, বরপেটা, বিশ্বনাথ. বনগাঁও, চিরাং, ধেমাজি, ধুবরি, ডিমা হাসাও, গোলপারা, হোজাই. কামরূপ, লখিমপুর, মাজুলি, নাগাঁও, নালবারি, শিবসাগর, তিনসুকিয়া।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। বন্যা প্লাবিত এলাকাগুলিতে প্রায় প্রতি ঘণ্টায় জলস্তর বাড়ছে। চাষের জমিগুলিও সম্পূর্ণ ডুবে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে ৩৭৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যার খবর পেয়ে রাজ্যের পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই টুইট করে জানান যে, প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রের তরফে যাবতীয় সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।