“বাবা কা ধাবা”-কে বিখ্যাত করা ইউটিউবারের বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ আনলেন মালিক

রাতারাতি টুইটারে ট্রেন্ডিং ছিল"বাবা কা ধাবা"। যে ইউটিউবারের ভিডিয়োর দৌলতে জনপ্রিয়তা, তাঁর বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন ধাবার মালিক কান্ত প্রসাদ।

বাবা কা ধাবা-কে বিখ্যাত করা ইউটিউবারের বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ আনলেন মালিক
"বাবা কা ধাবা"-কে রাতারাতি বিখ্যাত করে তুলেছিল গৌরব। ছবি সৌজন্যে: ইন্সটাগ্রাম।
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 1:10 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: ‘ইউটিউব ইনফ্লুয়েন্সারের’ (YouTube Influencer) দৌলতে রাতারাতি হিট হয়ে গিয়েছিল “বাবা কা ধাবা” (Baba ka Dhaba)। ৩০ বছর ধরে দোকান চালিয়েও যত গ্রাহক পাননি, তা একদিনেই ভিড় জমিয়েছিল সেই ভাইরাল ভিডিয়োর দৌলতে। এবার সেই ইউটিউবারের (Youtuber) বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন ধাবার মালিক কান্ত প্রসাদ। অভিযোগ, না জানিয়েই তাঁর নামে টাকা সংগ্রহ করেছেন ওই ইউটিউবার।

দক্ষিণ দিল্লির মালভিয়া নগরে ছোট একটি খাবারের দোকান “বাবা কা ধাবা”। লকডাউনে ব্যবসায় কত ক্ষতি হয়েছে, সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অশতিপর বৃদ্ধ। সম্পূর্ণ ঘটনাটিই ক্যামেরাবন্দি করে ইউটিউব ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন গৌরব ওয়াসান(Gaurav Wasan) নামে এক ইউটিউবার। তিনি একজন ফুড ব্লগার(Food Blogger)। সস্তায় ভালো খাবারের খোঁজেই “বাবা কা ধাবা” আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন তিনি।

বৃদ্ধের কান্না দেখে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তাবড় তাবড় তারকা- সকলেই সেখানে খেতে যাওয়ার অনুরোধ করেন। রাতারাতি টুইটারে (Twitter)ট্রেন্ড করে “বাবা কা ধাবা”। হাজার হাজার লোক ভিড় জমান ওই বৃদ্ধের ব্যবসায়িক প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানাতে ও সাহায্য করতে। শুটিংয়ে দিল্লিতে গিয়ে বাবা কা ধাবায় খেতে যান অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার ভাই অপারশক্তি খুরানাও।

যার দৌলতে লক্ষ্মী ফিরল, তাঁর নামেই কেন থানায় অভিযোগ করলেন ওই বৃদ্ধ? কান্ত প্রসাদের অভিযোগ, গৌরব ভিডিয়োটি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট করে সাধারণ মানুষকে আর্থিক সাহায্যের কথা বলেন।

অভিযোগপত্রে তিনি বলেছেন,”গৌরব ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পনামাফিক কেবল নিজের ও পরিবারের লোকজনের ব্যাঙ্ক ডিটেলস এবং ফোন নম্বর দিয়েছিল। তাঁকে কিছু না জানিয়েই সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার ও বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং ওয়ালেটের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে গৌরব।”

এক পুলিস আধিকারিক অতুল কুমার ঠাকুর বলেন,”মালভিয়া নগর পুলিস স্টেশনে গতকাল এই বিষয়ে অভিযোগ এসেছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি।”

যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন গৌরব। তিনি বলেন,”তার নামে যে আর্থিক সাহায্য সংগ্রহ করেছিলাম, সেই টাকার মধ্যে ২.৩৩ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে ও এক লাখ টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছি। আমি সেই ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট জোগাড় করার চেষ্টা করছি। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।”