Patanjali: এই শীতে বাজরার রুটি কোন সবজির সঙ্গে খেলে উপকার, জানালেন বাবা রামদেব

Patanjali: বেশিরভাগ ভারতীয় প্রতিদিন গমের রুটি এবং ভাত খান। জয়পুরের এক আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ কিরণ গুপ্ত বলছেন যে গমের রুটি ক্ষতিকারক না হলেও এটি উপকারী নয়। অন্যদিকে, বাজরার আটা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।

Patanjali: এই শীতে বাজরার রুটি কোন সবজির সঙ্গে খেলে উপকার, জানালেন বাবা রামদেব
যোগগুরু রামদেবImage Credit source: PTI

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 12, 2025 | 11:35 PM

বাজরা শীতকালে একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এবং শক্তিও জোগায়। তাই, আয়ুর্বেদেও এটিকে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। খাঁটি ঘি দিয়ে তৈরি বাজরার রুটি এখনও রাজস্থান সহ দেশের অনেক গ্রামাঞ্চলে একটি জনপ্রিয় খাবার। রসুনের চাটনির সঙ্গে এটি আরও বেশি সুস্বাদু লাগে। বাজরার আটা একটি শীতকালীন সুপারফুড, যে কারণে পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা বাবা রামদেব বারবার এর উপকারিতার কথা তুলে ধরেছেন। আয়ুর্বেদ আরও বলেছে যে এটি শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারী।

বাব রামদেবের মতে, শীতকালে আমাদের কীভাবে বাজরার রুটি খাওয়া উচিত তা জেনে নেওয়া জরুরি। ভুলভাবে খেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ে।

বাজরার উপাদান

বাজরা শরীরের জন্য একটি আশীর্বাদ কারণ এতে ক্যালোরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩ এবং ফোলেট সহ অসংখ্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

বাজরা কেন গমের চেয়ে ভাল?

বেশিরভাগ ভারতীয় প্রতিদিন গমের রুটি এবং ভাত খান। জয়পুরের এক আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ কিরণ গুপ্ত বলছেন যে গমের রুটি ক্ষতিকারক না হলেও এটি উপকারী নয়। অন্যদিকে, বাজরার আটা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।

বাবা রামদেব কী বলেন?

বাবা রামদেব একটি ভিডিয়োতে বলেছেন, রাগির আটার সঙ্গে বাজরা মিশিয়ে খেলে দ্বিগুণ উপকার পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেছেন যে যদি কেউ আর্থ্রাইটিস বা স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে তাদের বাজরা এবং রাগি একসঙ্গে খাওয়া উচিত। রামদেব বলেছেন যে এই দুটি বাজরার আটা মিশিয়ে খেলে রুটি নরম হবে। আসলে, বাজরা এবং রাগির আটা দিয়ে তৈরি রুটি বেশ শক্ত, যেখানে এগুলি একত্রিত করলে নরম এবং সুস্বাদু রুটি তৈরি হয়। রাগি এবং বাজরায় স্টার্চ কম থাকে এবং এতে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, যা গেঁটেবাত কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।

বাবা রামদেব রাগি ও বাজরার রুটির সঙ্গে অ্যালোভেরা, মেথির স্প্রাউট এবং কাঁচা হলুদ দিয়ে তৈরি সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি এই সবজিটি কীভাবে তৈরি করবেন তাও ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, “আপনাকে ২০০ গ্রাম অ্যালোভেরা জেল, ২০ গ্রাম মেথির স্প্রাউট এবং ১০ গ্রাম কাঁচা হলুদ খেতে হবে। এই সবজিটি তৈরি করে বাজরা এবং রাগি রুটির সঙ্গে খেতে হবে। এই খাবারটি খাওয়ার পর প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষের মধ্যে বাতের সমস্যা কমে যায়।”

অ্যালোভেরা ওষুধ হিসেবে কাজ করে

ভিডিয়োতে বাবা রামদেব অ্যালোভেরাকে একটি ওষুধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বাবা রামদেবের মতে, মেক্সিকানরাও ডায়াবেটিস, বাত এবং পেটের সমস্যার জন্য অ্যালোভেরা ব্যবহার করে। এই ভারতীয় উদ্ভিদ শতাব্দী ধরে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর সবজি রান্না করে খাওয়াও যেতে পারে। তাছাড়া, বাবা রামদেব অ্যালোভেরা ছাড়াও বাড়িতে তুলসী গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন।