‘ভারত আরও গরিব’, মাথাপিছু জিডিপি-তে বড় লাফ বাংলাদেশের

সম্প্রতি আইএমএফ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত এখন দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় গরিব দেশ। দারিদ্রতার নিরিখে ভারতের আগে রয়েছে পাকিস্তান এবং নেপাল।

‘ভারত আরও গরিব’, মাথাপিছু জিডিপি-তে বড় লাফ বাংলাদেশের
Sheikh Hasina - ছবি আওয়ামী লিগের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
Follow Us:
| Updated on: Oct 27, 2020 | 12:02 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: মাথাপিছু জিডিপি-তে আরও তলানিতে ভারত (India)। চলতি অর্থবর্ষের শেষে অন্তত ১০ শতাংশেরও বেশি নীচে নামবে দেশের জিডিপি। এমনই আশঙ্কার কথা জানাল আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ)। অন্যদিকে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটিয়ে ভারতকে ছাপিয়ে যাবে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ (Bangladesh)। শুধু বাংলাদেশই নেই প্রতিবেশী আরও দেশ, যেমন ভূটান, মলদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাও জিডিপি-তে ভারতকে পিছনে ফেলে দেবে।

সম্প্রতি আইএমএফ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত এখন দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় গরিব দেশ। দারিদ্রতার নিরিখে ভারতের আগে রয়েছে পাকিস্তান এবং নেপাল।

আইএমএফ-র ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী এই আর্থিক বছরের শেষে বাংলাদেশের জিডিপি-তে ৪ শতাংশ (১ হাজার ৮৮৮ ডলার) বৃদ্ধি ঘটবে। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার আরও এক দেশ শ্রীলঙ্কা নিয়েও একই রকম সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আইএমএফ। অন্যদিকে ভারতের জিডিপি-তে ১০.৫ শতাংশ (১ হাজার ৮৭৭৭ ডলার) হ্রাসের আশঙ্কাও করা হয়েছে। গত চার বছরে যা সর্বনিম্ন। তবে আগামী অর্থবর্ষে ভারত ঘুরে দাঁড়াবে, এই আশার বাণীও এসেছে আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে।

আইএমএফ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী শুধু ভারতই নয়, অতিমারী করোনার কারণে গোটা বিশ্বেই মন্দা চলছে। এই অর্থবর্ষে বিশ্বের স্রেফ ৪.৪ শতাংশই বৃদ্ধি দেখেছে আইএমএফ। তবে আগামী অর্থবর্ষে পরিস্থিতি বদলাবে এবং ন্যূনতম ৫.২ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা।

রফতানিতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

পাঁচ বছর আগেও বাংলাদেশের জিডিপি-র তুলনায় ৪০ শতাংশ এগিয়ে ছিল ভারত। কিন্তু বিগত সময়ে রফতানি বাড়িয়ে বাজিমাত করল শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দেশ। গোটা বিশ্ব যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্যিক যুদ্ধ নিয়ে চিন্তিত, তখন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বন্ধুতার হাত বাড়িয়ে দেশের শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বর্তমান বিশ্বে চীন-বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ‘বাণিজ্যিক বন্ধু’। দুই দেশের মধ্যে কমপক্ষে ১৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়।

চীন ছাড়াও গোটা বিশ্বব্যপী পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। ২০১৯ অর্থবর্ষে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ওপরে পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সাল থেকে এই পর্যন্ত যা সর্বাধিক (৪৪ শতাংশ)। সেই তুলনায় ভারত অনেকটাই পিছিয়ে। করোনাভাইরাসের ধাক্কায় বেসামাল নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) রেলগাড়ি। ভারতীয় অর্থনীতি কার্যত লাইনচ্যুত। আমদানি ও রফতানি, মার্চ থেকেই মন্দা চলছে ভারতে।

সঞ্চয় হারেও এগিয়ে বাংলাদেশ   

কেবল জিডিপি-ই নয়, সঞ্চয় হারের নিরিখেও ভারত সহ আরও প্রতিবেশী দেশগুলোকে টেক্কা দিচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের জুনে ২৭.৪ শতাংশ, ২০১৯ সালের জুনে ২৯.৫ শতাংশ এবং চলতি বছরের জুনে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের সঞ্চয় হার ৩০.১ শতাংশ। সেই তুলনায় ভারতে সঞ্চয়ের হার বিগত ১৫ বছরে সর্বনিম্ন। ২০১৯ অর্থবর্ষে জিডিপি-র ৩০.১ শতাংশ পড়েছে ভারতের সঞ্চয়ের হার। ওয়ার্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী নয়ের দশকের অর্থনৈতিক সঙ্কটের চেয়ে বর্তমান পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়াবহ।