Minor Abuse: প্রথমে ছাত্র, পরে প্রধান শিক্ষক! ধর্ষণের শিকার নাবালিকা
Head Master: নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষককে আসতে দেখে সে ভেবেছিল, ওই শিক্ষক হয়তো তাকে সাহায্য করবে। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষক তো তা করেননি। উল্টে তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ।
পটনা: প্রথমে ছাত্র পরে প্রধান শিক্ষকের হাতে ধর্ষিত হলেন ১৪ বছরের এক নাবালিকা। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কাইমুর জেলায়। ঘটনার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা নাবালিকা। তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত ছাত্র পলাতক। তার খোঁজে চলছে তল্লাশি।
নির্যাতিতা নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছে, পায়খানা করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। সে সময় চার জন তাকে অপহরণ করে। অপহরণ করে কিছু দূরেই একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেখানে নিয়ে গিয়ে এক জন তাঁর ধর্ষণ করে। বাকিরা দাঁড়িয়ে তা দেখছিল। ওই চার জনই বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকাকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার সময় তা দেখে ফেলেছিলেন স্থানীয় সরকারি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি কিছুক্ষণ পর হাজির হন সেখানে। তাঁকে দেখেই নাবালিকাকে ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় চার ছাত্র। ওই নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষককে আসতে দেখে সে ভেবেছিল, ওই শিক্ষক হয়তো তাকে সাহায্য করবে। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষক তো তা করেননি। উল্টে তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। এর পর রক্তাক্ত অবস্থায় ঝোপের মধ্যে নাবালিকাকে ফেলে চলে প্রধান শিক্ষক চলে যায় বলে অভিযোগ।
নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই নাবালিকা। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নির্যাতিতার বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। সে জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার সুনীল কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ছাত্র পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। ওই অফিসার আরও জানিয়েছেন, নাবালিকাকে অপহরণে জড়িত আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হবে। এবং সকলেরই বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।