Bilkis Bano Case: ১১ ধর্ষকের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিলকিস বানো

Supreme Court: এ দিন বিলকিস বানোর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে এই মামলাকে তালিকাভুক্ত করার অনুরোধ করেন।

Bilkis Bano Case: ১১ ধর্ষকের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিলকিস বানো
বিলকিস বানো।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 17, 2022 | 12:17 PM

নয়া দিল্লি: গুজরাট সরকারের তরফে বিলকিস বানোর গণধর্ষণে অভিযুক্তদের মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন বিলকিস বানো (Bilkis Bano)। ২০০২ সালে গোধরা দাঙ্গার পরই গণধর্ষিত হয়েছিলেন বিলকিস বানো। তার চোখের সামনেই তিন বছরের মেয়ে সহ গোটা পরিবারকে খুন করা হয়। ওই মামলাতেই যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছিল ১১ জন অভিযুক্তকে। কিন্তু সম্প্রতিই গুজরাট সরকারের তরফে ওই ১১ জন অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তকে নিয়ে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। এবার সেই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিলকিস বানো।

এ দিন বিলকিস বানোর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে এই মামলাকে তালিকাভুক্ত করার অনুরোধ করেন। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, তিনি গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখবেন, দুটি আবেদনই একসঙ্গে এবং একই বেঞ্চের অধীনে শুনানি করা যায় কি না, তাও বিচার করে দেখবেন।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার ঠিক পরেই গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বিলকিস বানো। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ২১ বছর এবং তিনি পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। গণধর্ষণ করেই থামেনি অভিযুক্তরা, বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর তিন বছরের মেয়ে সহ পরিবারের সাত সদস্যকে খুন করা হয়।

২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময়ে বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের আরও ৭ জনকে হত্যার অভিযোগে ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের সিবিআইয়ের  বিশেষ কোর্ট অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে বম্বে হাইকোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। তবে ১৫ বছরের বেশি কারাবাসের পর আসামীদের মধ্যে একজন সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন করেছিলেন। শীর্ষ আদালতের তরফে বল ঠেলে দেওয়া হয় গুজরাট সরকারের কোর্টে। গুজরাট সরকারকে তাদের সাজা মওকুফের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরপর গুজরাট সরকার এই বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটিই ১১ জনের মুক্তির সুপারিশ করে।

গত ১৫ অগস্ট গোধরা সাব জেল থেকে মুক্তি পায় ওই ১১ জন অভিযুক্ত। তাদের ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সেই ঘটনাটিরও তীব্র সমালোচনা করা হয়। কংগ্রেস সহ একাধিক রাজনৈতিক দল এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে।

এদিন, বুধবার বিলকিস বানো সুপ্রিম কোর্টের মে মাসের অর্ডারকে চ্যালেঞ্জ করেন, যেখানে শীর্ষ আদালতের তরফে গুজরাট সরকারকে অভিযুক্তদের মুক্তির সিদ্ধান্ত বিবেচনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ১১ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সাজা শেষ হওয়ার আগেই মুক্তির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েও রিট পিটিশন দাখিল করেছেন বিলকিস বানো।