BJP Slams Abhishek Banerjee : ‘অভিষেক সরকারের অতিরিক্ত সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হয়ে উঠছেন’, তোপ বিজেপির

BJP Slams Abhishek Banerjee : তৃণমূলকে ফ্য়াসিবাদী বলে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি অভিষেককে আক্রমণ করে বলেন, 'তিনি দিনের পর দিন সরকারের অতিরিক্ত সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হয়ে উঠছেন।'

BJP Slams Abhishek Banerjee : 'অভিষেক সরকারের অতিরিক্ত সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হয়ে উঠছেন', তোপ বিজেপির
গ্রাফিক্স সৌজন্যে : টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2022 | 6:13 PM

নয়া দিল্লি : মঙ্গলে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। শাসক দলের বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নবান্ন ঘেরাও অভিযানে নেমেছিল বিজেপি। এ দিন কলকাতা ও হাওড়ার একাধিক জায়গায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আটক হন শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্য়ায় ও সুকান্ত মজুমদারদের মতো হেভিওয়েট নেতারা। বিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করতে জল কামানও ব্যবহার করে পুলিশ। এমজি রোডে পুলিশের পিসিআর ভ্যান ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তোলে বিজেপি। এ দিনের ঘটনায় জাতীয় স্তরে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এদিন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করলেন তিনি। অনির্বাণের অভিযোগ, বর্তমান সরকারের কোনও পদে না থেকে তিনি সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন।

এদিন অভিষেককে আক্রমণ করে বিজেপি নেতা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিনের পর দিন সরকারের অতিরিক্ত সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হয়ে উঠছেন। পশ্চিমবঙ্গের শাসন ব্যবস্থায় যাঁকে সবাই রিপোর্টিং করছে। যিনি সমস্ত নীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।’ প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি দলের ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’। ডায়মন্ড হারবারের লোকসভার সাংসদ তিনি। তবে রাজ্য়ে প্রশাসনের কোনও সাংবিধানিক পদে তিনি নেই। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেই তাঁর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনির্বাণ চাঁচাছোলা ভাষায় বলেন, ‘গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্তত ৩০ বার গুলি চালানোর কথাটা ব্যবহার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে হয়তো নজিরবিহীন, কোনও সাংসদ ও শাসকদলের নেতা কপালে ইঙ্গিত করে বলেছেন গুলি মেরে দেব।’

সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন নবান্ন অভিযানের কিছু প্রিন্টেড ছবি তুলে ধরে অনির্বাণের অভিযোগ, একাধিক জায়গায় দেখা যাচ্ছে পুলিশ পাথর ফেলছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘কোন পুলিশের ম্য়ানুয়ালে লেখা রয়েছে যে, কোনও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করা প্রতিবাদ সভা বা মিছিলে পাথর ছুড়ে বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। এম জি রোডের চারপাশের বাড়ির ছাদ থেকে খালি মদের বোতল, কাচ মিছিলে আন্দোলনকারীদের উপর ফেলা হয়েছে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘আজ মহিলা পুলিশ কী করতে পারে সেইসব নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু সেদিন দেখা গিয়েছে কোনও মহিলা পুলিশ নেই। ছয়জন মিলে একজন মহিলাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারছে। একাধিক জায়গায় এই ছবি। এবং আগেও দেখা গিয়েছে পুলিশ যখন লাঠিচার্জ করেছে তখন পুলিশের মধ্যে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশের উর্দি পরা তৃণমূলের ক্য়াডার।’

অনির্বাণের আরও তোপ, ‘অভিষেকের এই গুলি করে দেওয়ার অঙ্গভঙ্গি মনে করিয়ে দিল পলপটের কথা। তারই দেশের প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষকে মাথায় গুলি করে খুলির পাহাড় তৈরি করতেন। এটা নতুন প্রজন্মের পলপট। এর জবাব গণতান্ত্রিক উপায়ে মানুষ দেবে।’