লোকসভায় রাজুর মুখে ‘গোর্খাল্যান্ড’, স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চেয়ে সরব দার্জিলিঙের সাংসদ

কৌশলী মন্তব্যে তিনি একবারও পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলেলনি। কিন্তু, তাঁর ভাষণে গোর্খাদের প্রতি অন্যায়, অবিচারের কথা উঠে এসেছে।

লোকসভায় রাজুর মুখে 'গোর্খাল্যান্ড', স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চেয়ে সরব দার্জিলিঙের সাংসদ
ছবি সৌজন্যে- লোকসভা টিভি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2021 | 12:04 AM

নয়া দিল্লি: সংসদে সরাসরি গোর্খাল্যান্ডের দাবি না তুলেও বুধবার বিতর্কিত ইস্যুতে ফের ধোঁয়া দিলেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা। নিজের কৌশলী মন্তব্যে তিনি একবারও পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলেলনি। কিন্তু, তাঁর ভাষণে গোর্খাদের প্রতি অন্যায়, অবিচারের কথা উঠে এসেছে। এবং পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন। বর্তমানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যখন উত্তরের এক সাংসদ কেন্দ্রশাসিত উত্তরবঙ্গের আবেদন জানাচ্ছেন এবং বিজেপির একটি অংশ তাঁকে সমর্থন করছে, সেই সময় লোকসভায় দার্জিলিঙের সাংসদের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বুধবার গোর্খাদের নানা সুবিধা-অসুবিধার কথা সংসদে উল্লেখ করেন রাজু বিস্তা। পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সের অনুন্নয়ন এবং গোর্খাদের জাতিসত্ত্বার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। শেষে বলেন, “এই সমস্ত কারণেই থেকে থেকে পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবি ওঠে। আলাদা রাজ্যের দাবি কেবল উন্নয়নের স্বার্থে নয়, ভারতে থাকা দেড় কোটি গোর্খার সত্ত্বাও এর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। এলাকার মানুষের কথা মাথায় রেখে আমাদের দল বিজেপিও স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানাবো, এই প্রক্রিয়া যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু করা যায়।”

রাজুর এই বক্তব্যের পর নতুন করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি ঘুরপথে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিই তিনি উস্কে দিলেন? রাজনৈতিক মহল যদিও এখনই তেমনটা মনে করছে না। কারণ, রাজুকে পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবির নেপথ্যে থাকা যৌক্তিকতার ব্যাখ্যা দিতে শোনা গিয়েছে। কিন্তু, গোর্খাল্যান্ডকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তাঁকে জানাতে শোনা যায়নি। বুধবারের ভাষণে বারবার করে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের আবেদন জানাতে শোনা গিয়েছে রাজুকে। তাই দার্জিলিঙের সাংসদের এ দিনের দাবি সুচতুর এবং সুকৌশলী বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।

তবে রাজু বিস্তার এ দিনের ভাষণের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে সময়ে সংসদে তিনি এই দাবি তুলে ধরছেন সেটা। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা কেন্দ্রশাসিত উত্তরবঙ্গের দাবি করেছিলেন। পরবর্তী সময় তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আসন দেওয়া হয়। আরেক সাংসদ নিশীত প্রামাণিক ঘুরপথে সেই দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। তিনিই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আসন পান। যে কারণে রাজনৈতিক মহল বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার মুখে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও তার সাম্প্রতিক বেশ কিছু পদক্ষেপ যা ইঙ্গিত দেওয়ার দিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় রাজুর মুখে এই ভাষণ আরও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। আরও পড়ুন: হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বঙ্গে এবার ‘ফ্রি-হ্যান্ড’ সিবিআই! তদন্তে অনুমতি লাগবে না রাজ্যের