Sonia Gandhi-Smriti Irani: সনিয়ার কঠোর স্বর নাকি স্মৃতির স্লোগান, কোথা থেকে সংসদে দুই নেত্রীর মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হল?

Sonia Gandhi-Smriti Irani: দিল্লির রাজীব চকে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী মুখ ফসকে রাষ্ট্রপতিকে রাষ্ট্রপত্নী বলে উল্লেখ করেছিলেন। এই মন্তব্যকে ঘিরেই শুরু হয়েছে তরজা।

Sonia Gandhi-Smriti Irani: সনিয়ার কঠোর স্বর নাকি স্মৃতির স্লোগান, কোথা থেকে সংসদে দুই নেত্রীর মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হল?
তুঙ্গে সনিয়া বনাম স্মৃতি তরজা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2022 | 12:19 PM

নয়া দিল্লি: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের লড়াই ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বনাম কংগ্রেস নেত্রীর লড়াইয়ে পরিণত হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই দিল্লির রাজীব চকে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী মুখ ফসকে রাষ্ট্রপতিকে রাষ্ট্রপত্নী বলে উল্লেখ করেছিলেন। এই মন্তব্যকে ঘিরেই শুরু হয়েছে তরজা। বৃহস্পতিবার সংসদের লোকসভা ও রাজ্যসভা উত্তাল হয় শাসক দলের বিক্ষোভে। বিজেপি সাংসদদের দাবি, এই অপমান ও অবমাননাজনক মন্তব্যের জন্য অধীর চৌধুরী ও কংগ্রেসের দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে। এদিকে, লোকসভায় বিক্ষোভ চলাকালীনই বচসা শুরু হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর মতে। দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।

বিজেপি সাংসদ রমা দেবীর দাবি, সনিয়া গান্ধী যে কঠোর কন্ঠস্বরে কথা বলেছিলেন স্মৃতি ইরানির সঙ্গে, তার জন্যই বচসা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলায় তিনি এমন আচরণ করেছেন বলে দাবি। অর্থমন্ত্রী  নির্মলা সীতারামনও বলেন, “সনিয়া গান্ধী যেভাবে হঠাৎ বিজেপি সাংসদদের দিকে এগিয়ে এসেছিলেন, তাতে অনেকেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তিনি নিজেই স্মৃতি ইরানির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।”

ঠিক কী হয়েছিল?

অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল গতকাল। লোকসভায় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিশু ও নারীকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি কংগ্রেস নেত্রীকে নিশানা করে বলেন, “সনিয়া গান্ধী, আপনি দ্রৌপদী মুর্মুকে অপমান করার অনুমতি দিয়েছেন। দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে বসে থাকা মহিলাকে অপমানের জন্য আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।”

বিক্ষোভের জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ। লোকসভার কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ পিছন ফিরে বিজেপির বেঞ্চের দিকে এগিয়ে যান কংগ্রেস নেত্রী।

বিজেপি সাংসদ রমা দেবী, যার সঙ্গে কথা বলার জন্যই কংগ্রেস নেত্রী গিয়েছিলেন, তিনি বলেন, “সনিয়া গান্ধীর কঠোর স্বরের জন্যই ঝামেলা শুরু হয়। তিনি আমার সামনে এসে বলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন, তাহলে আমার দোষ কোথায়?” বিজেপি সাংসদের দাবি, স্মৃতি ইরানির দিকে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী।

একাধিক সাংসদের দাবি, সনিয়া গান্ধী কথা বলার মাঝেই স্মৃতি ইরানি সহ বিজেপি সাংসদরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। স্মৃতি ইরানি কংগ্রেস নেত্রীকে “ক্ষমা চান” বলতে এলে সনিয়া গান্ধী কঠোর স্বরে বলেন, “আমার সঙ্গে একদম কথা বলবেন না”। এতেই রেগে যান স্মৃতি ইরানি। পাল্টা তিনি বলেন, “আপনার সাহস হয় কীভাবে, এভাবে আচরণ করবেন না, এটা আপনার পার্টি অফিস নয়…”, জবাবে সনিয়া বলেন, “আমি আপনার সঙ্গে কথা বলছি না।”

এদিকে, অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরও বিজেপি সাংসদরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। সনিয়া গান্ধীজি রমা দেবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন, আচমকা স্মৃতি ইরানি হাজির হন এবং অপমানজনক কথা বলতে শুরু করেন। তিনি গোয়ায় অবৈধ বার বিতর্কের রাগই কংগ্রেস নেত্রীর উপরে দেখাচ্ছিলেন।”