JP Nadda: চব্বিশের লোকসভায় নাড্ডাতেই ভরসা, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি থাকছেন জগৎ প্রকাশই
JP Nadda BJP President: ভারতীয় জনতা পার্টির রাষ্ট্রীয় সভাপতি হিসেবে মেয়াদ বাড়ল জেপি নাড্ডার। ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই পদে থাকছেন নাড্ডাই।
নয়া দিল্লি: ভারতীয় জনতা পার্টির রাষ্ট্রীয় সভাপতি হিসেবে মেয়াদ বাড়ল জেপি নাড্ডার (BJP national president JP Nadda)। ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই পদে থাকছেন নাড্ডাই। বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে এই সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির। বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই কথা ঘোষণা করেছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন জেপি নাড্ডাকে আরও এক দফা রাষ্ট্রীয় সভাপতি পদে রেখে দেওয়ার প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সর্বসম্মতভাবে সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়। অমিত শাহ বলেন, “জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে তেলঙ্গানা এবং বাংলায় বিজেপির জয়ের মতো পরিবেশ তৈরি করেছে। নরেন্দ্র মোদী এবং জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে ২০২৪ সালে বিজেপি ২০১৯ সালের থেকেও বেশি ব্যবধানে জিতবে। ২০২৪-এ মোদীই প্রধানমন্ত্রীর পদে ফিরবেন।”
এর আগে শোনা যাচ্ছিল জেপি নাড্ডার কাছ থেকে দলের রাষ্ট্রীয় সভাপতির দায়িত্ব প্রত্যাহার করা হতে পারে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং চলতি বছরে নির্ধারিত ৯ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের দায়িত্ব কোনও নতুন মুখের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। নতুন বিজেপি সভাপতির দৌড়ে শোনা যাচ্ছিল বর্তমান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের নাম। সেই ক্ষেত্রে, বিজেপির এক ব্যক্তি এক পদ নীতি অনুযায়ী তাঁকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হত। তবে সোমবার দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের প্রথম দিনে, যেভাবে আসন্ন ৯ রাজ্যের নির্বাচনের সবকটিতে দলকে জেতানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন জেপি নাড্ডা, তাতে রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল জেপি নাড্ডাই এই পদে থেকে যাবেন। এদিন,প্রত্যাশা মতোই নাড্ডার প্রতিই আস্থা বজায় রাখলেন দলের কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্য।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, নাড্ডার নেতৃত্বে আস্থা রেখেছেন দলের কার্যনির্বাহী সমিতির সকল সদস্যই। তিনি বলেন, “দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের মধ্যে, বিজেপিই সবথেকে বেশি গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয়। আমরা দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বুথ পর্যায় থেকে দলের সভাপতি পদ পর্যন্ত সকল পদের জন্য নির্বাচন আয়োজন করি। নির্বাচনের আগে যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালানো হয়, কোভিড মহামারির প্রভাব তাতেও পড়েছিল। সেই কারণেই বুথ পর্যায়ে নির্বাচন করা যায়নি। তাই সবপতি পদের নির্বাচনও পিছিয়ে গিয়েছিল। জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে মহামারি চলাকালীন ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে দল।”
২০১৯ সালে অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর, দলের সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছিলেন জেপি নাড্ডা। প্রথমে তাঁকে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। পরে পূর্ণ তিন বছরের মেয়াদে নিযুক্ত করা হয়। এই তিন বছরের মেয়াদে নাড্ডার নেতৃত্বে ছিল যে বিজেপি বিহার, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতে ভাল ফল করেছে, পশ্চিমবঙ্গেও শক্তি বাডিয়েছে বলে জানান অমিত শাহ।