Chhattisgarh: যতই ঠান্ডা লাগুক, কুলার বন্ধ করা যাবে না! বাধা দিতেই জুটল জুতোপেটা-লাথি, ধুন্ধুমার কাণ্ড সরকারি হাসপাতালে
Chhattisgarh Man Beaten: অম্বিকাপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি রাতে প্রতীক্ষালয়েই শুয়েছিলেন। সকালে এসে এক মহিলা কুলারটি বন্ধ করে দেন। ওই ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করেন যে কেন কুলার বন্ধ করা হল?
রায়পুর: একজনের প্রচণ্ড গরম লাগছে, আরেকজনের ঠাণ্ডা। কুলার চলবে কি না, তা নিয়েই শুরু হল বচসা। সেই বচসাই যে এমন ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে, তা হয়তো কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। হাসপাতালে প্রতীক্ষালয়েই এক ব্য়ক্তির সঙ্গে ধুন্ধুমার বাধল মহিলার। পায়ের চটি খুলে লাগাতার আঘাত করতে শুরু করলেন। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ে। সেখানের একটি হাসপাতালেই কুলার চালানো নিয়ে এক মহিলা ও ব্যক্তির মধ্যে ব্যাপক বচসা শুরু হয়। রাগে জুতো খুলে মেঝেতে বসে থাকা ওই ব্যক্তিকেই মারতে শুরু করেন মহিলা। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই মারধরের ভিডিয়ো।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালে রোগীদের পরিজনদের জন্য যে প্রতীক্ষালয় থাকে, সেখানেই রাত কাটাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। প্রায় সারা রাত ধরেই চলছিল কুলারটি। সকালে প্রতীক্ষালয়ে আসেন এক মহিলা। চেয়ারে বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ঠান্ডা লাগছে বলে অভিযোগ করেন। কুলারটি অফ করতে গেলে, ওই ব্যক্তি বাধা দেন। বলেন, কোনওমতে কুলার অফ করা যাবে না। এরপরই দুজনের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। আচমকাই ওই মহিলা পাযের চপ্পল খুলে ওই ব্যক্তিকে আঘাত করতে থাকেন। লাথিও মারেন ওই ব্যক্তিকে।
छतीसगढ़ के अंबिकापुर मेडिकल कॉलेज के OPD में एक महिला ने युवक की पिटाई कर दी. बताया जा रहा है कि महिला ने ये सिर्फ़ इसलिए किया क्योंकि हॉल में चल रहे कुलर को महिला ने बंद कर दिया था. इस व्यक्ति ने महिला से कूलर बंद करने का कारण पूछा लिया. pic.twitter.com/BrZ2xvL4Sa
— Priya singh (@priyarajputlive) October 19, 2022
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ছত্তীসগঢ়ের অম্বিকাপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়েটিং রুমের মেঝেতে বসে রয়েছেন এক ব্যক্তি। হঠাৎ এক মহিলা উঠে আসেন এবং তাঁর সঙ্গে তর্ক করতে শুরু করেন। এরপরই তিনি চপ্পল খুলে ওই ব্যক্তিকে আঘাত করতে শুরু করেন। বেশ কয়েকবার লাথিও মারেন ওই ব্যক্তিকে। মহিলার পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে খোঁচাতেও দেখা যায় মেঝেতে বসে থাকা ব্যক্তিকে। এত মারধরের পরও ওই ব্যক্তি কোনও প্রতিক্রিয়াই দেননি, এমনকী মারধর আটকানোর চেষ্টাটুকুও করেননি।
জানা গিয়েছে, অম্বিকাপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি রাতে প্রতীক্ষালয়েই শুয়েছিলেন। সকালে এসে এক মহিলা কুলারটি বন্ধ করে দেন। ওই ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করেন যে কেন কুলার বন্ধ করা হল? এরপরই মেজাজ হারান ওই মহিলা, গালি-গালাজ, জুতো খুলে মারধর করতে শুরু করেন ওই ব্যক্তিকে। চিৎকার-চেচামেঁচি শুনেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নিরাপত্তারক্ষী, তিনি আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরিয়ে নিয়ে যান।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, ওই ব্যক্তি বিনা কারণেই হাসপাতালে এসেছিলেন। রাতে ঘুমানোর জন্য তিনি প্রতীক্ষালয়ে ঢুকেছিলেন। পরবর্তী সময়ে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার দিকে নজর রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।