Delhi Police: পাঁজর ভাঙল চিদম্বরমের, বেনুগোপালের উপর ‘প্রাণঘাতী হামলা’! গুরুতর অভিযোগে বিদ্ধ দিল্লি পুলিশ

Delhi Police: সোমবার (১৩ জুন), রাহুল গান্ধীর প্রতি সংহতি জানিয়ে দলীয় সদর দফতর থেকে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের কার্যালয় পর্যন্ত পদযাত্রা করতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে চুড়ান্ত নাকাল হলেন পি চিদম্বরম এবং কেসি বেনুগোপাল।

Delhi Police: পাঁজর ভাঙল চিদম্বরমের, বেনুগোপালের উপর 'প্রাণঘাতী হামলা'! গুরুতর অভিযোগে বিদ্ধ দিল্লি পুলিশ
আটক করা হয় কেসি বেনুগোপাল, অধীর চৌধুরী-সহ বহু কংগ্রেস নেতাকে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2022 | 11:04 PM

নয়া দিল্লি: দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের নেতাদের চুড়ান্ত হেনস্থা করার অভিযোগ করল কংগ্রেস। পুলিশের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে পাঁজরের হাড় ভেঙে গিয়েছে দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের। আহত হয়েছেন সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি এবং শক্তি সিং গোহিলও। সেই সঙ্গে, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জামা ছিঁড়ে গিয়েছে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ কেসি বেনুগোপালের। রাহুল গান্ধীর প্রতি সংহতি জানিয়ে, কংগ্রেস সাংসদদের এক বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় তহবিল তছরুপের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিনই ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল গান্ধী।

রাহুল গান্ধীর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার সময়, দলীয় সদর দফতর থেকে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের কার্যালয় পর্যন্ত পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল কংগ্রেসের। তবে, এই কর্মসূচির জন্য অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। রবিবারই কংগ্রেসকে মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল তারা। পুলিশ বলেছিল, ভিভিআইপিদের এই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে, রাজধানীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটতে পারে। এদিন মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোর থেকেই কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের আটক করা শুরু করেছিল দিল্লি পুলিশ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পুলিশি অভিযানের একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। দেখা গিয়েছে কংগ্রেস কর্মীরা স্লোগান দিচ্ছেন, আর তাদের জোর করে ধরে বাসে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। ছাড় পাননি দলের শীর্ষ নেতারাও। দলের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার অভিযোগ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমকে আঘাত করেছে পুলিশ। প্রতিবাদ মিছিলের সময় তাঁর চশমা মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। একটি ভিডিয়ো টুইট করে সুরজেওয়ালা বলেছেন, ‘মোদী সরকার বর্বরতার সব সীমা অতিক্রম করেছে। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে পুলিশ আঘাত করেছে। তাঁর চশমা মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বাম পাঁজরে হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার হয়েছে। সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারিকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে, তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে এবং পাঁজর ভেঙে গিয়েছে। এটাই কি গণতন্ত্র?’

সুরজেওয়ালার আরও অভিযোগ, দলের রাজ্যসভার সাংসদ কেসি বেনুগোপালের উপরও প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়েছে। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পুলিশকর্মীরা বেনুগোপালকে রীতিমতো টেনে-হিঁচরে একটি বাসে তুলছেন। ভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীনিবাস বিভি এই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। টুইটে তিনি বলেছেন, ‘রাজ্যসভার সাংসদ এবং অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগাপোলজির সঙ্গে দিল্লি পুলিশের এই আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়’। কেসি বেনুগোপালকে অন্যান্য কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় তুঘলক রোড থানায়। পরে, সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুধু কেসি বেনুগোপালকেই নয়, এদিন দিল্লি পুলিশ আটক করে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, সাংসদ জয়রাম রমেশ প্রমুখ বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতাদেরও।

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় শুধু রাহুল গান্ধী নয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে তাঁর মা তথা কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকেও। তবে সনিয়া বর্তমানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত। রবিবারই তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছে। এই কারণে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ২১ জুন তাঁকে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজনৈতিক বিরোধীদের হেনস্থা করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এদিন, সেই বিষয়টিই জনগণের সামনে তুলে ধরতে প্রতিবাদ মিছিলের পরিকল্পনা করেছিল কংগ্রেস। তবে, দিল্লি পুলিশ তা কড়া হাতে দমন করল। তবে, রাজ্যে রাজ্যে ইডি অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা।