Drug Seized from Mundra Port: স্বাদ নয়, নেশা ধরাবে নুন! ‘অপারেশন নমকিনে’ই ফাঁস নুনের প্যাকেটের রহস্য
Drug Seized from Mundra Port: অপারেশন নমকিন' নামক এই অভিযানে ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স আধিকারিকেরা প্রায় ২৫ হাজার কেজির ১ হাজারটি নুনের প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করে। পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই নুনের প্যাকেটের মধ্যেই লুকিয়ে রাখা হয়েছে কোকেন।
আহমেদাবাদ: বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের খবরের শিরোনামে মুন্দ্রা বন্দর। আরও একবার গুজরাটের এই বন্দর থেকেই উদ্ধার করা হল বিপুল পরিমাণ মাদক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দর থেকে প্রায় ৫২ কেজি কোকেন উদ্ধার করা হয়। এই বিপুল পরিমাণ মাদকের বাজারমূল্য আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা। গোয়েন্দা বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, নুনের প্যাকেটে লুকিয়ে এই মাদক দেশের ভিতরে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল।
‘অপারেশন নমকিন’ নামক এই অভিযানে ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স আধিকারিকেরা প্রায় ২৫ হাজার কেজির ১ হাজারটি নুনের প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করে। পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই নুনের প্যাকেটের মধ্যেই লুকিয়ে রাখা হয়েছে কোকেন। ডিআরআই আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, সম্প্রতিই তাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর এসেছিল ইরান থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক দেশে আমদানি করা হচ্ছে। গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দরে এই মাদক আমদানি করা হচ্ছে, এই খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এরপরই নুনের প্যাকেটের মধ্যে থেকে ৫২ কেজি কোকেন উদ্ধার করা হয়।
সন্দেহজনক ওই নুনের প্যাকেটগুলি উদ্ধার করার পরই গুজরাট সরকারের ডিরেক্টরেট অব ফরেন্সিক সায়েন্সের তরফে নমুনার ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে ইরান থেকে আসা ওই বিপুল পরিমাণ নুনের প্যাকেটের মধ্যেই লুকিয়ে রাখা আছে কোকেনও। এখনও অবধি মোট ৫২ কেজি কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কারা এই মাদক আমদানি করেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালেও গুজরাটের এই বন্দর থেকেই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল। ট্যালকম পাউডারের আড়ালে দুটি কন্টেনার বোঝাই করে আফগানিস্তান থেকে ৩ হাজার কেজি মাদক আনা হয়েছিল। আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন মুন্দ্রা বন্দরে মোট কন্টেনার ছিল। একটিতে ২০০০ কেজি ও অপর কন্টেনারে ১০০০ কেজি মাদক ছিল। ওই মাদকের বাজারমূল্য ছিল ১৯ হাজার কোটি টাকা।