Bengaluru: ছাত্রীদের ব্যাগে কন্ডোম-আইপিল, ছাত্রদের ব্যাগে মদের বোতল, চক্ষু ছানাবড়া স্কুল কর্তৃপক্ষের

Bengaluru: বেঙ্গালুরু শহরের ৮০ শতাংশ স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাগে আচমকা তল্লাশি। বের হল চমকে দেওয়া জিনিসপত্র।

Bengaluru: ছাত্রীদের ব্যাগে কন্ডোম-আইপিল, ছাত্রদের ব্যাগে মদের বোতল, চক্ষু ছানাবড়া স্কুল কর্তৃপক্ষের
স্কুল ব্যাগ থেকে যা যা বের হল চোখ ছানাবড়া কর্তৃপক্ষের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2022 | 4:37 PM

বেঙ্গালুরু: অষ্টম, নবম, দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ব্যাগ তল্লাশি করে চোখ ছানাবড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল কর্তৃপক্ষের। কন্ডোম, গর্ভনিরোধক বড়ি, সিগারেট, লাইটার, মদ – কী নেই তাদের ব্যাগে! সম্প্রতি, কর্নাটকের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল কর্তৃপক্ষ বা ‘ক্যামস’, বেঙ্গালুরু শহরের কয়েকটি স্কুলে আচমকা ছাত্রছাত্রীদের ব্যাগে তল্লাশি চালায়। প্রাথমিকভাবে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল তাদের ব্যাগে মোবাইল ফোন আছে কি না, তা দেখার জন্য। কিন্তু, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসে সাপ।

ক্যামস-এর সাধারণ সম্পাদক ডি শশীকুমার জানিয়েছেন, এক ছাত্রীর ব্যাগ থেকে ওরাল কন্ট্রাসেপটিভস (গর্ভনিরোধক বড়ি) পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া, জলের বোতলে মদ নিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। দশম শ্রেণির আরেক ছাত্রীর ব্যাগে পাওয়া গিয়েছে কন্ডোম। কর্তৃপক্ষ তাকে চেপে ধরায় সে জানিয়েছে, তার স্কুলের কিংবা টিউশন পড়ার জায়গার সহপাঠীরা তার ব্যাগে কন্ডোম ঢুকিয়ে দিয়েছে। বেঙ্গালুরুর ৮০ শতাংশ স্কুলে এই অভিযান চালানো হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ব্যাগ থেকে এই বিস্ময়কর আবিষ্কারে হতবাক কর্নাটকের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, তার জন্য ছাত্রছাত্রীদের সাসপেন্ড করার রাস্তায় যাচ্ছে না স্কুলগুলি। বদলে, তারা ওই ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠাচ্ছে। তাদের কাউন্সেলিং করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কয়েকটি স্কুল অভিভাবক এবং শিক্ষিকাদের নিয়ে বিশেষ সভার আয়োজন করেছে। জানা গিয়েছে, শিক্ষার্থীদের ব্যাগ থেকে এই সমস্ত জিনিস পাওয়ার খবরে একই রকম বিস্মিত তাদের অভিভাবকরাও। অনেক স্কুল থেকে ছাত্রছাত্রীদের উপযুক্ত কাউন্সিলরের কাছে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য দিন দশেকের ছুটিও দেওয়া হচ্ছে।

ক্যামস-এর সাধারণ সম্পাদক ডি শশীকুমার আরও জানিয়েছেন, গত বেশ কয়েকদিন ধরেই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের আচার আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। বিভিন্ন স্কুল থেকে ছাত্রছাত্রীদের হাতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হেনস্থা হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল। সহপাঠীরা সহপাঠীদের উদ্দেশ্যে কটু ভাষা প্রয়োগ করছিল। অশ্লীল বাক্যের প্রয়োগ, অশ্লীল ভঙ্গী করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। অনুমান করা হয়েছিল, মোবাইল ফোনের অপপ্রয়োগই তাদের এই পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই কারা স্কুলে মোবাইল ফোন আনে, তা দেখার জন্য এই তল্লাশি অভিযান করা হয়েছিল।