Rajasthan Politics : রাজস্থানে রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে অস্বস্তিতে কংগ্রেস, গেহলটকে ফোন সনিয়ার
Rajasthan Politics : সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করতে গিয়েছেন সচিন পাইলট। এদিকে রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ সনিয়া গেহলটের সঙ্গে ১০ মিনিট ফোনে কথা বলেছেন।
নয়া দিল্লি : সভাপতি নির্বাচনের আগেই ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব। বর্তমানে রাজস্থানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতেও পড়েছে কংগ্রেস। বিজেপি সহ একাধিক দলের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে কংগ্রেস হাই কম্যান্ডকে। এদিকে রাজস্থানের গোটা ঘটনাতে নিজের দায় নেই বললেও অশোক গেহলটকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। জানা গিয়েছে, সনিয়া গান্ধী অশোক গেহলটের উপর ক্ষুণ্ণ। তবে নিজের দায় স্বীকার না করলেও দলীয় পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়্গের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন গেহলট। সূত্রের খবর,এই আবহে অশোক গেহলটকে ফোন করেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।
রাজস্থানে রাজনৈতিক সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে অশোক গেহলটের সঙ্গে ১০ মিনিট কথা হয়েছে সনিয়ার। জানা গিয়েছে, রাজস্থানে বর্তমান রাজনৈতিক ডামাডোল নিয়েই দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এদিকে আগামীকাল ১০ জনপথে সনিয়ার সঙ্গে গেহলট সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে আজই দিল্লিতে পৌঁছেছেন রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। আজ তাঁরও সনিয়ার সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, অশোক গেহলট কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হলে দলের ‘এক পদ, এক ব্যক্তি’ নীতি মেনে গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে হত। গেহলট সেই নীতি বাস্তবায়নে নিমরাজি থাকলেও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর স্পষ্ট বার্তার পর তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন। আর সচিন পাইলটকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করার ইঙ্গিত কংগ্রেসের হাই কম্যান্ডের তরফে পাওয়া যায়। তারপরই শুরু হয় বিরোধ।
সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে রাজি হননি গেহলট শিবিরের বিধায়করা। তাঁদের দাবি ২০২০ সালে সচিন দল ছেড়ে যাওয়ার সময় যাঁরা অশোকের পাশে থেকে দল ও সরকারের ভাঙন রুখেছিলেন তাঁদের মধ্যে থেকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিতে হবে। বিধায়করা মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও অজয় মাকেনের নেতৃত্বে গেহলটের বাড়িতে অনুষ্ঠিত পরিষদীয় দলের বৈঠকে অংশ না নিয়ে নিজেদের মতো করে বৈঠক করেন। তারপর রবিবার রাতেই স্পিকার সিপি যোশীর কাছে ইস্তফা দেওয়ার হুমকি দেন ৯২ জন বিধায়ক। তারপর থেকে পরিস্থিতি ঘিরে উত্তেজনা চরমে। এক কংগ্রেস নেতা জানান, এই বিরোধের মাঝেই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না গেহলট। তবে সূত্রে খবর, এখনি এই নির্বাচন থেকে ছিটকে যাননি তিনি। আর এদিকে খানিকটা সুর বদল করতেও শোনা গিয়েছে গেহলট অনুগত বিধায়কদের। গেহলট অনুগত হিসেবে পরিচিত কংগ্রেস বিধায়ক মদন প্রজাপত জানিয়েছেন, সচিন পাইলটকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হোক।