Priyanka Gandhi: ‘আমার সঙ্গে ছবি তোলা যদি অপরাধ হয়…’, সেলফি বিতর্কে যোগী সরকারকে ‘খোঁচা’ প্রিয়ঙ্কার

Priyanka Gandhi Selfie Controversy: প্রিয়ঙ্কা লেখেন, "শুনলাম এই ছবি নিয়ে যোগীজী এতটাই কষ্ট পেয়েছেন যে এই মহিলা পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনি পদক্ষেপ করতে চান।"

Priyanka Gandhi: 'আমার সঙ্গে ছবি তোলা যদি অপরাধ হয়...', সেলফি বিতর্কে যোগী সরকারকে 'খোঁচা' প্রিয়ঙ্কার
আগ্রার মহিলা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা । ছবি: টুইটার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2021 | 8:46 AM

আগ্রা: কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে সেলফি তুলে বিতর্কে আগ্রার মহিলা পুলিশকর্মীরা। লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার ধ্রুবকান্ত ঠাকুর ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই খবর পাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে খোঁচা দিয়ে কংগ্রেস নেত্রী বললেন, “আমার সঙ্গে ছবি তোলা যদি অপরাধ হয়, তবে আমায় শাস্তি দেওয়া হোক।”

ঘটনার সূত্রপাত প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সফর ঘিরে। গতকালই আগ্রায় পুলিশি হেফাজতে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে দেখা করতে যান প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তবে মাঝপথেই তাঁর গাড়িকে বাধা দেয় পুলিশ। লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম টোল প্লাজ়ার দীর্ঘক্ষণ তাঁকে আটকে রাখে পুলিশ, জানানো হয়, আগ্রার জেলাশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরই দেখা করার অনুমতি নেই। যদিও পরে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়।

এ দিকে, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর গাড়ি আটকানোর পর তিনি গাড়ি থেকে নামতেই কয়েকজন মহিলা পুলিশকর্মী এগিয়ে আসেন এবং তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে চান। প্রিয়ঙ্কাও হাসিমুখে তাদের সঙ্গে ছবি তেলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হতেই অনেকে প্রশ্ন তোলেন, কর্তব্যরত অবস্থায় কীভাবে এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ছবি তুললেন ওই পুলিশকর্মীরা। এরপরই লখনউের পুলিশ কমিশনার তদন্তের নির্দেশ দেন।

এই কথা জানতে পেরেই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ওই ছবি সহ হিন্দিতে একটি টুইট করেন। তাতে লেখেন, “শুনলাম এই ছবি নিয়ে যোগীজী এতটাই কষ্ট পেয়েছেন যে এই মহিলা পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনি পদক্ষেপ করতে চান। যদি আমার সঙ্গে ছবি তোলা কোনও অপরাধ হয়, তবে অন্য় কাউকে নয়, আমায় শাস্তি দিন। কঠোর ও নিষ্ঠাবান মহিলা পুলিশকর্মীদের কেরিয়ার নষ্ট করা সরকারকে শোভা দেয় না।”

প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডেপুটি কমিশনারও জানতে চেয়েছেন যে ওই মহিলা পুলিশকর্মীদের এই আচরণ পুলিশের নিয়মবিধি ভঙ্গ করেছে কিনা। ডিসিপির রিপোর্ট অনুযায়ী ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

এ দিকে, মাঝপথে বাধা পাওয়ার পর টুইট করেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তিনি প্রশ্ন করেন, “কীসের থেকে এত ভয় পাচ্ছে উত্তর প্রদেশ সরকার?” তিনি আরও লেখেন, “পুলিশি হেফাজতে অরুণ বাল্মিকীর মৃত্যু হয়েছে। তার পরিবার ন্যায় বিচার চাইছে। আর তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাই। কীসের এত ভয় উত্তর প্রদেশ সরকারের? কেন আমাকে আটকানো হচ্ছে?”

যখন প্রিয়ঙ্কাকে বাধা দেওয়া হয়, তখন উত্তর প্রদেশ পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস নেত্রী। পুলিশের বাধা অতিক্রম করে তিনি এগোনোর চেষ্টা করেন। রাস্তার আশেপাশে ভিড়ও জমে যায় কিছুটা। আর এরই মধ্যে এক ভিডিয়োতে কংগ্রেস নেত্রীকে বিরক্ত গলায় বলতে শোনা যায়, যেখানেই আমি যাব সেখানেই আমাকে অনুমতি নিতে হবে… আর তার জবাবে এক পুলিশ কর্মীকে বলতে শোনা যায়, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। পুলিশ কর্মীর জবাব শুনে আরও বিরক্ত হয়ে যান প্রিয়ঙ্কা। পাল্টা বলেন,  ” সমস্যা কোথায়? একজন মারা গিয়েছে… এখানে আইন – শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমস্যা হওয়ার কী রয়েছে? বলুন আমাকে।”

আরও পড়ুন: Punjab Congress: ‘নিজেই নিজেকে ধ্বংস করছেন’, অমরিন্দরের দল ঘোষণায় কটাক্ষ কংগ্রেস নেতাদের