Congress Chintan Shivir: কংগ্রেস সভাপতি পদে আবার রাহুল গান্ধী? চিন্তন শিবিরে নেতাদের দাবি ঘিরে জল্পনা
Rahul Gandhi: দেশের শতাব্দী প্রাচীন দলের যখন এমন দুর্দশা, তখনই আরেক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য রাজস্থানের উদয়পুরেই বসেছে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির।
উদয়পুর: বিজেপি (BJP) থেকে শুরু করে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলি কংগ্রেসকে দেশের ‘ক্ষয়িষ্ণু’ বলেই মনে করে। তাদের ধারণা যে খুব একটা অমূলক নয়, সাম্প্রতিক কয়েকটি নির্বাচনে আরও একবার এই কথা প্রমাণিত হয়েছে। মার্চ মাসে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই দেখা গিয়েছে, পাঁচটিতেই কংগ্রেস (Congress) হেরেছে। শুধু তাই নয়, দেশের মাত্র ৩ টি রাজ্যে কংগ্রেস শাসিত সরকার ছিল, ভোটের ফল প্রকাশের পর সেই সংখ্যাটা ২ হয়ে গিয়েছে। কারণ পঞ্জাবেও আম আদমি পার্টির কাছে ব্যাপকভাবে পরাজিত হয়েছিল কংগ্রেস। দেশের শতাব্দী প্রাচীন দলের যখন এমন দুর্দশা, তখনই আরেক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য রাজস্থানের উদয়পুরেই বসেছে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির। গতকালই শিবির সূচনায় দলের খোলনলচে বদলে ফেলার বার্তা দিয়েছিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। ‘সময়ের দাবি’ মেনে সংগঠনে যে বদল আসতে চলেছে স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন সনিয়া। সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চিন্তন শিবির থেকেই আবার রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) প্রেসিডেন্ট পদে ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে। চিন্তন শিবিরে কংগ্রেস নেতারা রাহুলকেই প্রেসিডেন্ট পদে চেয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে বিজেপির কাছে বিরাট পরাজয়ের পর কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। দলকে জেতাতে সফল না হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। খাতায় কলমে সভাপতি না থাকলেও রাহুলই যে কংগ্রেসের শেষকথা ছিলেন, একথা প্রায় সকলেই জানেন। দলের সব বড় কর্মসূচিতেই প্রথমসারিতে সনিয়ার পাশাপাশি রাহুলকে দেখা যেত। এবার চিন্তন শিবির থেকে আরও একবার রাহুলকে সভাপতি করার দাবি সামনে এল।
সম্প্রতি, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সেই সময় প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের সদস্য নয়, এমন কারোর থাকা উচিৎ। কিন্তু প্রশান্তের কংগ্রেস যোগ এখন বিশ বাঁও জলে। তিনি পৃথক রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এখন আরও একবার চিন্তন শিবির থেকে রাহুলের সভাপতিত্বের দাবি উঠল। বিক্ষুব্দ কংগ্রেস নেতাদের একাংশও রাহুলকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন, রাহুলের সভাপতিত্ব নিয়েও তাদের আপত্তি ছিল। চিন্তন শিবিরে এই রাহুলকে সভাপতি করা দাবি সেই বিক্ষুব্ধ নেতাদের জবাব বলেই মনে করা হচ্ছে।