Sachin Pilot : গেহলট ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন পাইলট, খাড়্গের কাছে পদক্ষেপের আবেদন

Sachin Pilot : গেহলট ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আবেদন সচিন পাইলটের। ফের অশোক-গেহলট দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রাজস্থানে।

Sachin Pilot : গেহলট ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন পাইলট, খাড়্গের কাছে পদক্ষেপের আবেদন
ছবি সৌজন্যে: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2022 | 4:44 PM

জয়পুর: রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ও সচিন পাইলটের (Sachin Pilot) মধ্যেকার বিবাদ বহুদিনের। একাধিকবার জনসমক্ষেও এসেছে পাইলট ও গেহলট শিবিরের দ্বন্দ্ব। বুধবার কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট আরও একবার স্পষ্ট করলেন, গেহলট ও তাঁর মধ্যে কিছু ঠিক নেই। তিনি এদিন বলেছেন, রাজ্য়ে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক নয় নির্বাচিত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। এদিন তিনি গেহলট ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের কথা বলেছেন তা বলাই বাহুল্য়।

বুধবার জয়পুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সচিন পাইলট বলেছেন, ‘একটি পুরনো রাজনৈতিক দল হল কংগ্রেসে। এখানে সকলের জন্য একটাই নিয়ম। তা সে যতই বর্ষীয়ান হোক না কেন। আমি নিশ্চিত নয়া সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে কোনও পদক্ষেপ করবেন।’এর পাশাপাশি তিনি বলেছেন, দলীয় পর্যবেক্ষক কেসি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে শীঘ্রই পদক্ষেপ করা হবে। রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেছেন, ‘কংগ্রেস মনে করে এটা চরম বিশৃঙ্খলার নিদর্শন। অজয় মেকেন ও খাড়্গে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। দল তিনজনকে নোটিস পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই সেই নোটিসের জবাব দিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ কংগ্রেসের সকলের জন্য একটাই নিয়ম।’

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসেই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে রাজস্থানের কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। এই সভাপতি নির্বাচনের দৌড়ে প্রথমের সারিতে ছিলেন অশোক গেহলটই। তবে জেদের বশেই নিজে সেই সুযোগ হারিয়েছেন। উদয়পুর চিন্তন শিবিরে গৃহীত কংগ্রেসের ‘এক ব্য়ক্তি, এক পদ নীতি’ অনুযায়ী সভাপতি নির্বাচিত হলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হত গেহলটকে। তবে তা মেনে নিতে নারাজ ছিলেন তিনি। তবে এই নীতি নিয়ে রাহুল গান্ধীর কঠোর অবস্থানের পর অবশেষে ভেঙেছিলেন গেহলট। সভাপতি নির্বাচিত হলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে রাজি হয়েছিলেন।

তবে গেহলটের পর মুখ্য়মন্ত্রীর পদে কে বসবেন তা নিয়ে শুরু হয় জলঘোলা। সচিন পাইলটকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে কংগ্রেসের হাই কম্যান্ডের তরফে আভাস দেওয়া হয়। তাতেই বেঁকে বসেন অশোক গেহলট ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বিধয়াকরা। সেইসময় জানা গিয়েছিল, গেহলট ঘনিষ্ঠ প্রায় ৮২ জন বিধায়ক ইস্তফাপত্র নিয়ে রাজ্যপালের কাছে পৌঁছেও গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছিল জাতীয় কংগ্রেস। কংগ্রেসের হাই কম্যান্ডের তরফে রাজ্যে কংগ্রেসের দুই বর্ষীয়ান নেতাকে পর্যবেক্ষক করেও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করতেও অস্বীকার করেছিলেন বিধায়করা। সেই সময় তাঁরা একপ্রকার দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহই ঘোষণা করেছিলেন। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথাই নয়া নির্বাচিত সভাপতিকে পরোক্ষভাবে বললেন সচিন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা কুড়োনোর জন্য গেহলটকে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘এটা আকর্ষণীয় যে প্রধানমন্ত্রী গতকাল (মুখ্যমন্ত্রীর) প্রশংসা করেছেন। এটাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ প্রধানমন্ত্রী একইভাবে সংসদে গুলাম নবি আজ়াদের প্রশংসা করেছিলেন এবং আমরা সবাই দেখেছি যা ঘটেছে।’