De-Addiction Event : ‘মদ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে’, নেশামুক্তি অভিযানে মন্ত্রীর মন্তব্য ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

De-Addiction Event : নেশামুক্তি অভিযানে গিয়ে কংগ্রেস মন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। মন্ত্রী বলেছেন, 'মদ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে।'

De-Addiction Event : 'মদ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে', নেশামুক্তি অভিযানে মন্ত্রীর মন্তব্য ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2022 | 5:38 PM

রায়পুর : নেশামুক্তি অভিযানে গিয়ে মদ্যপানের ‘উপকারিতা’ এর কথা বললেন ছত্তীসগঢ়ের এক মন্ত্রী। অনুষ্ঠান ছিল নেশামুক্তির। তবে সেখানে তাঁর কণ্ঠে নিয়ন্ত্রিত মদ্যপানের কথা শোনা যায়। তাতে অনেকে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন। লেখক হরিবংশ রাই বচ্চনের লেখা ‘মধুশালা’ কবিতার উল্লেখ মন্ত্রী প্রেম সিং টেকাম মদ্যপানের পক্ষে সুর চড়ান। তিনি মদ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে। তবে মানুষের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এই ধরনের মন্তব্য় করে ইতিমধ্যেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হয়েছেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্যে সমালোচনা করতে ছাড়েনি বিজেপিও।

পুলিশের তরফে নেশা মুক্তি অভিযানের আয়োজন করা হয়েছিল। ওয়াদরাফনগরের স্কুল পড়ুয়ারা সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মন্ত্রী প্রেম সিং টেকাম। সেখান উপস্থিত থেকে এক প্রকার নিয়ন্ত্রিত মদ্যপানের কথাই বললেন তিনি। তিনি বলেন, ‘মানুষ মদ এবং মদ্যপানের সঙ্গে জড়িত ক্ষতির কথাই সবসময় বলে… কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত উপকার নিয়ে কেউ কথা বলে না। আবার, যখন আমরা মদের কথা বলি মদ্যপানের সঠিক পদ্ধতিও আমাদের মনে রাখা উচিত… জল মিশিয়ে মদের গাঢ়ত্ব কমানোর সঠিক অনুপাত রয়েছে।’ তিনি এদিন ‘মধুশালা’ কবিতার উল্লেখ করে বলেন, ‘হরিবংশ রাই বচ্চন জি লিখেছিলেন ‘মন্দির মসজিদ ঝাগড়া কারাতে, লেকিন এক করাতি মধুশালা’। তবে সেখানে নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত (মদ খাওয়ায়)। আপনাদের নিজের নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একবার একটি মিটিংয়ে গিয়েছিলাম যেখানে তাঁরা মদের পক্ষে এবং বিপক্ষে কথা বলছিলেন। এক পক্ষ এর উপকারের কথা বলেছিল। মদের গাঢ়ত্ব কমানো উচিত এবং এর একটি সময়কাল (এটি খাওয়ার) হওয়া উচিত।’ ছত্তীসগঢ়ের মন্ত্রীর এই মন্তব্যের এক মিনিটের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিজেপিও মন্ত্রীর সমালোচনা করেছে। বিজেপি বিধায়ক অজয় চন্দ্রশেখর বলেছেন, ‘ভূপেশ বাঘেল জির সরকার ও দল কার্টুনেই ভর্তি। তাঁরা কোনও বিষয় বোঝে না। এটি কোনও কাজের সরকার নয়। দিল্লি (কংগ্রেস হাই কম্যান্ড) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি পুতুল সরকার এটি।’ তবে এই বিষয়ে কংগ্রেসের মন্ত্রী টেমাকের কোনও প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে জানা যায়নি।