Sonia Gandhi Attacks Modi: ‘চিন্তন শিবিরে’ সতীর্থদের মোদীর ‘মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্নেন্স’-এর অর্থ বোঝালেন সনিয়া গান্ধী
Chintan Sivir: মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা বরাবরই অভিযোগ করে এসেছিল দেশের আসল সমস্যাগুলি থেকে মুখ ঘুরিয়ে দিতেই ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিকেই হাতিয়ার করছে বিজেপি।
জয়পুর: রাজস্থানের উদয়পুরের চিন্তন শিবির থেকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর আগাম পরিকল্পনা নিয়েছিল কংগ্রেস। সেই মঞ্চকে হাতিয়ার করেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। শুক্রবার তিন দিনের চিন্তন শিবিরের সূচনা করেন কংগ্রেস সভানেত্রী। ছত্তীসগঢ় ও রাজস্থান, গোটা দেশে মাত্র এই দুটি রাজ্যেই এককভাবে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। তাই চিন্তন শিবিরের স্থান হিসেবে রাজপুতদের মাটিকেই বেছে নিয়েছিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। চিন্তন শিবিরের উদ্বোধন থেকে মোদী ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে চড়া সুর শোনা গিয়েছে সনিয়ার গলায়। কংগ্রেস শীর্ষনেত্রীর অভিযোগ, বিজেপি সরকার গোটা দেশেই মেরুকরণ ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, “দেশের মানুষের কাছে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে মোদী ও তাঁর সহকর্মীরা সরকার ও প্রশাসন বলতে কী বোঝাতে চান। তাঁরা গোটা দেশে স্থায়ীভাবে মেরুকরণের পরিস্থিতি বজায় রাখতে চান। তাঁরা চান দেশের মানুষকে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকতে বাধ্য করতে। সংখ্যালঘুদের নির্মমভাবে নিশানা ও নির্যাতন করতে ওরা পছন্দ করলেও, সংখ্যালঘুরা আমাদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তারাও দেশের নাগরিক, এই দেশে তাদেরও সমান অধিকার রয়েছে।”
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা বরাবরই অভিযোগ করে এসেছিল দেশের আসল সমস্যাগুলি থেকে মুখ ঘুরিয়ে দিতেই ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিকেই হাতিয়ার করছে বিজেপি। এদিন চিন্তন শিবির উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে সনিয়ার গলায় সেই সুরই শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, “দেশে বিদ্বেষের যে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে প্রচুর সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এই বিদ্বেষের আগুন কল্পনাতীত ভাবে সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেসকে বিভাজনের এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই হবে। বিজেপি সরকারের নেওয়া নীতির ফলে দেশে যেসব সমস্যা হচ্ছে, নব সংকল্প চিন্তন শিবির আমাদেরকে সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার সুযোগ দিয়েছে।”
রাজস্থানের উদয়পুরে ১৩ মে থেকে ১৫ মে, এই তিনদিন কংগ্রেসের চিন্তন শিবির চলবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। কংগ্রেস সভানেত্রী জানিয়েছেন এই চিন্তন শিবিরে জাতীয় ও প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি আলোচনা করা হবে। সনিয়া জানিয়েছেন, সাংগঠনিক কাঠামোতে বদল আনা প্রয়োজন, সেই কারণে আমাদের আলাদাভাবে কাজ করতে হবে। চিন্তন শিবির নিয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন, “৩ দিন ধরে নবীন ও প্রবীণরা নিজেদের মধ্যে দলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করবেন। মহাত্ম গান্ধী, মৌলানা আবুল কালাম আজাদের মতো ব্যক্তিত্বদের এই দলের প্রতি ভূমিকাও আলোচনা করা হবে। আমাদের একটাই খামতি আমরা কাজ করি, কিন্তু প্রচার করি না, কিন্তু বিজেপি কাজের থেক বেশি প্রচার করে। তিনদিন ধরে সব বিষয় আলোচনা করা হবে।”