CPIM Slams Congress: ‘সিপিএম বিজেপির এ টিম’, ‘ভারত জোড়ো’ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আক্রমণ কংগ্রেসের
CPM: ছবিতে কেরল ও উত্তর প্রদেশের মানচিত্র ব্যবহার করে দুই রাজ্যের আকারগত ফারাকও বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ (Bharat Jodo Padyatra) শুরু করেছে কংগ্রেস। কন্যাকুমারী থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে কংগ্রেসের এই বিশেষ কর্মসূচি। ৩ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে কাশ্মীরে এই যাত্রা শেষ হওয়ার কথা। এবার ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করল সিপিআইএম। যাত্রার শুরুতেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাতিয়ার হিসেবে এই বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে শতাব্দীপ্রাচীন দলকে কটাক্ষ করেছে সিপিআইএম। সিপিআইএমের দাবি, বাম শাসিত কেরলে ১৮ দিন ধরে এই কর্মসূচি চললেও বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র জন্য ২ দিন বরাদ্দ করা হয়েছে।
— CPI (M) (@cpimspeak) September 12, 2022
সিপিআইএমের অভিযোগ, ‘বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অদ্ভূত রাস্তা নিয়েছে কংগ্রেস।’ টুইটারে সিপিআইএমের তরফে রাহুল গান্ধীর একটি ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করে লেখা হয়েছে “ভারত জোড়ো না আসন জোড়ো অভিযান। কেরলে ১৮ দিন, উত্তর প্রদেশে ২ দিন। বিজেপি-আরএসএসের সঙ্গে লড়াইয়ের অদ্ভূত উপায়।” ছবিতে কেরল ও উত্তর প্রদেশের মানচিত্র ব্যবহার করে দুই রাজ্যের আকারগত ফারাকও বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে সিপিআইএমকে পাল্টা আক্রমণ করা হয়েছে। হাত শিবিরের দাবি, কেরলে বিজেপির ‘এ টিম’ হিসেবে কাজ করে সিপিআইএম। টুইট প্রসঙ্গে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “ভাল করে পড়াশুনো করে বোঝার চেষ্টা করুন যে কেন এই রুটে যাত্রা পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিজেপির এ টিমের মন্তব্য খুবই বোকা বোকা।”
উল্লেখ্য, কন্যাকুমারী থেকে এই যাত্রা শুরুর পর কংগ্রেস শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই যাত্রা ‘নতুন শুরু’ এবং ‘ভারতীয় রাজনীতির এক মোড় ঘোরানো মুহূর্ত’। কন্যাকুমারী থেকে শুরু হওয়ার পর তিরুঅনন্তপুরম, কোচি, নীলাম্বুর, মাইসুরু, বেল্লারি, রাইচুর, ভিকারাবাদ, নান্দেদ, জলগাঁও, ইন্দোর, কোটা, দৌসা, আলওয়ার, বুলন্দশহর, দিল্লি হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। আম্বালা, পাঠানকোট এবং জম্মু হয়ে ১৫০ দিন পর কাশ্মীরের শ্রীনগরে গিয়ে এই যাত্রা শেষ হওয়ার কথা। একের পর এক নির্বাচনে কংগ্রেসের দুর্বল হয়ে যাওয়ার যে প্রবণতা দেখা গিয়েছে, এই যাত্রা পর দেশের সবথেকে প্রাচীন রাজনৈতিক দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।