Delhi: রাজধানীর বায়ুর মান ‘গুরুতর’, যান চলাচলে বিধি-নিষেধ জারি

নয়া দিল্লি: দিল্লির বায়ুর গুণগত মান ‘গুরুতর’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালের দিকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে সমগ্র রাজধানী। এক হাত দূরের জিনিসও ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার গাড়ি চলাচলের উপর বিশেষ নিয়ন্ত্রণ চালু করল অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। BS3 পেট্রোল ও BS4 ডিজেল গাড়ি চলাচলের উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি সরকার।

যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সোমবার দিল্লি সরকারের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে BS3 পেট্রোল ও BS4 ডিজেল গাড়ি রাস্তায় চলাচল করবে না। শুক্রবার পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এ ব্যাপারে দিল্লি পরিবহণ দফতরের এক সিনিয়ার আধিকারিক বলেন, “বায়ুর মান অত্যন্ত খারাপ হওয়ার জন্যই র। BS3 পেট্রোল ও BS4 ডিজেল গাড়ি চলাচলের উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই আপাতত শুক্রবার পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। পরিবেশ দফতরের সঙ্গে আমরাও বায়ুর পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। যদি বায়ুর মানের উন্নতি ঘটে তাহলে শুক্রবারের পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।”

পরিবেশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বায়ুর গুণগত মান ছিল ৪৩৪। যা রবিবারে তুলনায় খারাপ। রবিবার এই সূচক ছিল ৩৭১। আগামী ২৪ ঘণ্টা বাতাসের মান ‘গুরুতর’ থাকবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ুর গুণগত মানের সূচক ২০০-র উপর হলেই সেটি খারাপ হিসাবে গণ্য করা হয়। বায়ুর গুণগত মান ২০০ থেকে ৩০০ হলে সেটিকে ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত সূচককে ‘খুব খারাপ’ এবং সূচক ৪০০-র উপর উঠলে অর্থাৎ ৪০১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত মানকে ‘গুরুতর’ হিসাবে ধার্য করা হয়। যা বর্তমানে দিল্লিতে চলছে।

এদিকে, কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা রাজধানী। এদিনও দিল্লির তাপমাত্রা ছিল ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় মোড়া থাকছে সমগ্র রাজধানী। যার প্রভাব পড়েছে যান চলাচল থেকে রেল এবং বিমান পরিষেবাতেও। বাচ্চাদের কথা ভেবে রবিবারই দিল্লির সমস্ত বেসরকারি স্কুলের শীতকালীন অবকাশ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে দিল্লি সরকার। এছাড়া সরকারি স্কুলগুলিতে কেবল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চলবে বলে দিল্লি শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা জারি করেছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে স্কুল চালু হবে বলেও শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।