‘রামরাজ্যে’র আদর্শে অনুপ্রাণিত মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যবাসীর উন্নয়নে হাতিয়ার ১০ নীতি
বিভিন্ন সময়ে বিজেপি (BJP) সরকারের বিরোধিতা করলেও এদিন মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal) বলেন, "আমি শ্রীরাম ও হনুমানের ভক্ত। রাম রাজ্যের আদর্শেই অনুপ্রাণিত হয়ে আমি ১০টি নীতি অনুসরণ করে দিল্লিবাসীর সেবা করার চেষ্টা করছি।"
নয়া দিল্লি: রাম রাজ্যের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যোগীরাজ্য নয়, রাজধানী দিল্লিতেই ১০টি নীতি অনুসরণ করে রাজ্যবাসীর উন্নয়নের উদ্দেশে কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল(Arvind Kejriwal)। অযোধ্যায় রাম মন্দির(Ram Mandir) তৈরি হয়ে গেলে রাজ্যের প্রবীণ বাসিন্দাদের সেখানে তীর্থ করতেও পাঠানোর প্রতিশ্রুতিও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
রামরাজ্য গঠন করার স্বপ্ন নিয়ে বিজেপি (BJP) সরকারের তরফে বরাবর প্রচার চালানো হয়েছে। এদিকে, কেন্দ্রের বিরোধিতা করলেও বুধবার বাজেট অধিবেশনের সময় মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল সম্পূর্ণ ভিন্ন সুরেই বলেন, “আমি শ্রীরাম ও হনুমানের ভক্ত। রাম রাজ্যের চিন্তাধারা অনুসরণ করেই দিল্লিবাসীর উন্নয়নে আমি ১০টি নীতি অনুসরণ করছি।”
কী এই ১০টি নীতি, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সকল রাজ্যবাসীর জন্য অন্ন, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিদ্যুৎ পরিষেবা, জল পরিষেবা, কর্মসংস্থান, নারী সুরক্ষা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের সম্মান দেওয়া-এই পরিষেবাগুলি দেওয়াই লক্ষ্য আমাদের।
আরও পড়ুন: নেগেটিভ রিপোর্ট জমা নিয়েই চালু হয়েছিল স্কুল, তবুও করোনা আক্রান্ত ৫৭ পড়ুয়া
তিনি বলেন, “দিল্লিতে কেউ যেন খালি পেটে না ঘুমোয়, এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই আমরা। একইসঙ্গে যেকোনও সামাজিক অবস্থানের শিশুরাই যাতে উচ্চমানের শিক্ষা পান, সেটি নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব।” চিকিৎসা পরিষেবার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গরিব হোক বা ধনী, সকলেই যেন সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পান, এটিই লক্ষ্য আমাদের। এরজন্য আমরা সরকারি হাসপাতালের যেমন উন্নতি করেছি, তেমনই মহাল্লা ক্লিনিকও গঠন করেছি।”
একইসঙ্গে তিনি সমস্ত দিল্লিবাসীকে আবেদন জানান, তাঁরা যেন করোনা টিাকরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। দিল্লি বিধানসভার সদস্যদের বলেন, “আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই আপনারা হাসপাতালে গিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে টিকা নিন। বিশেষ পরিষেবা চাইবেন না।”
আরও পড়ুন: ধোপে টিকল না কংগ্রেসের দাবি, আস্থাভোটে জয়ী খট্টর সরকার