Shraddha Murder Case: কুরিয়ারের মাধ্য়মেও কি শ্রদ্ধার দেহ লোপাটের ছক কষেছিল আফতাব? উঠে আসছে অজানা আরও তথ্য
Shraddha Murder Case: সংস্থার মালিক গোবিন্দ যাদব জানিয়েছেন আফতাব চলতি বছরের জুন মাসে একটি কুরিয়ার করেছিল তাঁর সংস্থার মাধ্যমে। ফ্রিজ, কিছু বাসনপত্র ও জামাকাপড় মুম্বই থেকে দিল্লির ঠিকানায় কুরিয়ার করেছিল আফতাব, বিনিময়ে ২০ হাজার টাকাও দিয়েছিল।
মুম্বই: যত দিন গড়াচ্ছে, ততই জটিল হচ্ছে শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ড (Shraddha Walker Murder Case)। লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করে ৩৫ টুকরো করেছিল তাঁর প্রেমিক আফতাব। তরপর সেই দেহ দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসে। শ্রদ্ধার পরিবারের তরফে খোঁজখবর শুরু করতেই সামনে আসে মে মাসের এই নৃশংস খুনের ঘটনা। অভিযুক্ত আফতাব ইতিমধ্যেই অপরাধ স্বীকার করে নিলেও, এখনও খোঁজ মেলেনি শ্রদ্ধা ওয়াকারের কাটা মুন্ডুর। শ্রদ্ধার হত্য়াকাণ্ডের কিনারা করতে এবার কুরিয়ার সংস্থার দিকেও নজর গেল পুলিশের। রবিবারই দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) একটি টিম মুম্বইয়ে একটি লজিস্টিক সংস্থা, যারা মুম্বই থেকে দিল্লিতে আফতাব-শ্রদ্ধার বাড়ির যাবতীয় সামগ্রী পাঠিয়েছিল, তার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
রবিবার দিল্লি পুলিশের একটি তদন্তকারী টিম মুম্বইয়ের ভাসাইয়ে যায় এবং সেখানে “গুড লাক মুভার্স অ্যান্ড প্যাকার্স” নামক একটি কুরিয়ার সংস্থার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই সংস্থার মালিক গোবিন্দ যাদব জানিয়েছেন আফতাব চলতি বছরের জুন মাসে একটি কুরিয়ার করেছিল তাঁর সংস্থার মাধ্যমে। ফ্রিজ, কিছু বাসনপত্র ও জামাকাপড় মুম্বই থেকে দিল্লির ঠিকানায় কুরিয়ার করেছিল আফতাব, বিনিময়ে ২০ হাজার টাকাও দিয়েছিল। কিন্তু আফতাবের সঙ্গে কোনও দিন তাঁর দেখা হয়নি,অনলাইনেই কুরিয়ার বুকিং ও টাকা দিয়েছিল আফতাব, এমনটাই জানিয়েছেন কুরিয়ার সংস্থার মালিক।
উল্লেখ্য, গত মে মাসেই মুম্বই থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয় শ্রদ্ধা ও আফতাব। দিল্লির মেহরৈলিতে তাঁরা একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকতে শুরু করে। গত ১৮ মে বচসা চলাকালীন শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করে আফতাব। তারপরে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে ভরে রাখে এবং ১৮ দিন ধরে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় সেই দেহ ফেলে আসে। পুলিশের প্রশ্ন, শ্রদ্ধাকে খুনের পর কেন বাড়ির সামগ্রী আনাল আফতাব? খুনের দিন শ্রদ্ধার সঙ্গে এই সামগ্রী আনানো নিয়েই বচসা শুরু হয়েছিল, জেরায় এ কথাও স্বীকার করে নিয়েছে আফতাব। তবে কী কুরিয়ারের মাধ্য়মেও দেহের টুকরো ‘পাচার’ করার পরিকল্পনা ছিল আফতাবের?
দিল্লি পুলিশ এখনও অবধি প্রায় ১০ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে শ্রদ্ধার হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে। রবিবার পুলিশ মুম্বইয়ের সেই বাড়িতেও যায়, যেখানে ২০২০ সাল থেকে ভাড়া থাকত শ্রদ্ধা ও আফতাব। এদিকে, কিছুতেই খোঁজ মিলছে না আফতাবের পরিবারের। নভেম্বরের শুরুতে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে আসার দিন ১৫ আগে তারা ইউনিক পার্কের বাড়ি ছেড়ে চলে যান।