Amarinder Singh: ‘জল্পনা ছড়াবেন না, নিজস্ব কাজেই দিল্লি যাত্রা’, কোন দিকে মোড় নেবেন ক্যাপ্টেন?
Speculations of Amarinder Singh: মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার সম্ভবনা নিয়েও পঞ্জাব রাজনীতির অন্দরে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলেছে অনেক।
নয়াদিল্লি : ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ কী হবে? পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই জল্পনা ছড়াচ্ছিল। যত দিন এগিয়েছে, তত কংগ্রেসের থেকে তাঁর দূরত্ব বেড়েছে বলেও শোনা যাচ্ছিল। আর এই জল্পনা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে ক্যাপ্টেনের দিল্লি যাত্রাকে কেন্দ্র করে। কানা ঘুষো শোনা যাচ্ছিল, অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক হতে পারে তাঁর।
কিন্তু বিজেপির একাধিক সূত্রে খবর, আজ অমিত শাহর সঙ্গে কোনও বৈঠক হচ্ছে না ক্যাপ্টেনের। এদিকে নাড্ডার সঙ্গেও বৈঠক প্রসঙ্গেও বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। গোটা বিষয়টি নিয়েই যেন বড্ড বেশি রাখ-ঢাক।
এদিকে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে জানিয়ে এসেছেন, কোনওরকম গুজব যেন না ছড়ানো হয়। যে বৈঠক নিয়ে এত জল্পনা ছড়াচ্ছে চারিদিকে, এমন কোনও বৈঠক হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। ক্যাপ্টেন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাজধানীতে তাঁর নিজস্ব কিছু কাজ আছে এবং সেই কারণেই তাঁর দিল্লি যাত্রা।
অথচ মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার সম্ভবনা নিয়েও পঞ্জাব রাজনীতির অন্দরে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলেছে অনেক। এমনকী এটাও শোনা যাচ্ছিল, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভাতেও জায়গা দেওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটওয়ালে ইতিমধ্যেই ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এনডিএ জোটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, কংগ্রেসে থেকে এভাবে অপমানিত হওয়ার থেকে, ক্যাপ্টেনের উচিত ওই দল ছেড়ে দেওয়া।
তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফার পর, হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুগ সহ একাধিক বিজেপি নেতা ক্যাপ্টেনকে কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বিজেপির গেরুয়া ধ্বজা তুলে নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু অমরিন্দর সিং বা তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।
বিগত কয়েক বছর ধরেই অমরিন্দর সিং বনাম নভজ্যোত সিং সিধুর দ্বন্দ্ব চললেও সম্প্রতিই তা চরমে ওঠে। সিধু পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই সিধু ঘনিষ্ঠ বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অমরিন্দর সিংকে সরানোর দাবি জানান। চাপের মুখে সম্প্রতি নিজেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অমরিন্দর সিং। এভাবে বারংবার অপমান করায় ক্ষোভ উগরেও দেন তিনি। অমরিন্দর সিংয়ের পরবর্তী সময়ে পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে দলিত শিখ নেতা চরণজিৎ সিং চন্নিকে। আর সেই সময় থেকেই কংগ্রেসে থেকে বেশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে রয়েছেন ক্যাপ্টেন।