Sanjay Raut: উদ্ধব ঘনিষ্ঠ শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে আটক করল ইডি!
তহবিল তছরুপ মামলায় শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে আটক করল এনপোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। উদ্ধব ঘনিষ্ঠ নেতার মুম্বইয়ের বাড়িতে তল্লাশির কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁকে আটক করা হল।
মুম্বই: তহবিল তছরুপ মামলায় শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে আটক করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। তহবিল তছরুপ মামলায়, উদ্ধব ঘনিষ্ঠ এই নেতার মুম্বইয়ের বাড়িতে তল্লাশির কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁকে আটক করা হল। এর আগে এই মামলায় ইডি সঞ্জয় রাউতকে দুটি সমন পাঠিয়েছিল। মুম্বইয়ের একটি বস্তির উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত একটি তহবিল তছরুপ মামলায় তাঁর স্ত্রী এবং ‘সহযোগীরা’ জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এই মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাঁকে তলব করা হয়েছিল। ১ জুলাই তাঁর বক্তব্য নথিভুক্ত করতে মুম্বইয়ে ইডির সামনে হাজিরা দিয়েছিলেন সঞ্জয় রাউত।
এরপর আবার ইডির পক্ষ থেকে তাঁকে দুবার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু, সংসদের বাদল অধিবেশন চলছে। সেই নিয়ে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে সঞ্জয় রাউত হাজিরা দেননি। রবিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৭ টায়, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মুম্বই শহরতলির ভান্ডুপে অবস্থিত সঞ্জয় রাউতের বাংলো ‘মৈত্রী’তে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। সকাল থেকে প্রায় সারাদিন ধরে চলে তল্লাশি, সেইসঙ্গে বাড়িতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাউতকে। তাঁর বাসভবনের বাইরে বিপুল সংখ্যক শিবসেনা কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের মুখে ছিল ইডি এবং বিজেপি বিরোধী স্লোগান।
শিবসেনার রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় রাউত প্রথম থেকেই কোনও অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন। তিনি পাল্টা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছেন। ইডি হানা দেওয়ার পরই তিনি টুইট করে বলেছিলেন, “আমি প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের নামে শপথ করে বলছি, কোনও কেলেঙ্কারির সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমি মরে যাব কিন্তু শিবসেনা ছাড়ব না।”
এর আগে ইডির সমন এড়িয়ে যাওয়ার জন্য শিবসেনা নেতাকে কটাক্ষ করেছিল বিজেপি। বিজেপি বিধায়ক রাম কদম বলেছিলেন, “তিনি নির্দোষ হলে, কেন তিনি এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটকে ভয় পাচ্ছেন? সাংবাদিক সম্মেলন করার জন্য তাঁর সময় আছে, কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারী সংস্থার কার্যালয়ে যাওয়ার সময় নেই।”
গত ১ জুলাই প্রায় ১০ ঘন্টা ধরে সঞ্জয় রাউতকে জেরা করেছিল ইডি। সঞ্জয় রাউতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রবীন রাউত এবং সুজিত পাটকরের সঙ্গে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির লেনদেন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তার আগে এপ্রিল মাসে, এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট তাঁর স্ত্রী বর্ষা রাউত এবং তাঁর দুই সহযোগীর ১১.১৫ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছিল। এর মধ্যে ছিল বর্ষা রাউতের দাদারের একটি ফ্ল্যাট এবং আলিবাগের সমুদ্র সৈকতে বর্ষা রাউত এবং সঞ্জয় রাউতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সুজিত পাটকরের স্ত্রী স্বপ্না পাটকরের যৌথ মালিকানার আটটি জমি।